সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


জুমার দিনে দরুদ পাঠে রয়েছে যে বিশেষ ফজিলত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
মসজিদে নববী--ছবি: সংগৃহীত

|| মুহাম্মাদ নুর আলম ||

জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। হাদিসে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে ‘আল জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে।

মহান আল্লাহও প্রিয়নবীর ওপর দরুদ অবতীর্ণ করেন, ফেরেশতারাও নবী সা.-এর প্রতি রহমত ও বরকত কামনা করেন। ‘হে মুমিন! তোমরাও তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করো এবং সালাম প্রেরণ করো।’ (সুরা আহজাব: ৫৬)

জুমার দিনে মুমিনদের জন্য বিশেষ কিছু আমলের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হচ্ছে দরুদ পাঠ।

‘তোমরা আমার ওপর জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ: ১০৪৭)

হাদিসে কুদসিতে মহানবী সা. ইরশাদ করেছেন—

‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পড়ো। কারণ, জিব্রাইল আ. এইমাত্র আল্লাহ তায়ালার বাণী নিয়ে হাজির হলেন। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তেগফার করে।’’ (তারগিব: ৩/২৯৯)

জুমার দিনের এই বিশেষ আমল সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণিত থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল সা. ইরশাদ করেন—

‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আসর নামাজের পর ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে’ (আফদালুস সালাওয়াত: ২৬)। দরুদটি হলো—

اللهم صل على محمد النبي الأمي وعلى آله وسلم تسليمًا

‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তাসলীমা’

অন্য হাদিসে হজরত আলি রা. বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি নবী কারিম সা.-এর ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ (কানজুল উম্মাল: ১৭৪)

আবু উমামা রা. বর্ণিত হাদিসে রাসুল সা. বলেন, ‘জুমার দিন আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে, সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে।’ (তারগিব: ১৫৭)

সুতরাং হাদিসে উল্লেখিত ফজিলত লাভের জন্য বিশেষ করে জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ সকল মুসলমানের জন্য বাঞ্ছনীয়। অন্য দিনেও দরুদ পাঠের গুরুত্ব অসীম। আল্লাহর রহমত পেতে হলে রাসুলুল্লাহ সা.-এর ওপর দরুদ পড়ার বিকল্প নেই। আল্লাহ তায়ালা মুসললিম উম্মাহকে নবী করিম সা. এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের তওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক: তরুণ আলেম ও সাংবাদিক

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ