সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

আশুরার তাৎপর্য ও করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| নুর আলম সিদ্দিকী ||

আশুরা অর্থ ১০ মহররম। ইসলামি পরিভাষায় মহররম মাসের ১০ তারিখকে আশুরা নামে অভিহিত করা হয়। আল্লাহ তায়ালা এই মাসকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তায়ালা যে চারটি মাসকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম মহররম মাস।

আল্লাহ ইরশাদ করেন, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন হতেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট নিশ্চয়ই মাসসমূহের সংখ্যা হল বারো মাস। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৩৬)

এই দিনের বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলত রয়েছে। ইবনে আব্বাস রা. বলেন- আল্লাহর রাসুল সা. মদিনায় হিজরত করে দেখতে পেলেন যে, ইহুদিরা আশুরার দিনে রোজা রাখছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কী ব্যাপার? (তোমরা এই দিনে রোজা রাখ কেন?) তারা বলল, এ অতি উত্তম দিন, এই দিনে আল্লাহ তায়ালা বনি ইসরাঈলকে তাদের শত্রুর কবল থেকে নাজাত দান করেন, ফলে এই দিনে মুসা আ. রোজা রাখেন। আল্লাহর রাসুল সা. বললেন, তোমাদের থেকে আমি মুসার অধিক নিকটবর্তী, এরপর তিনি এই দিনে রোজা রাখেন এবং রোজা রাখার নির্দেশ দেন। (সহিহ বোখারি, হাদিস : ২০০৪)

আশুরার রোজার গুরুত্ব

এই দিনটির সঙ্গে মিলিয়ে দুইদিন রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতের। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, রমজানের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা...। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬৪৫)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ও আশুরায় যেভাবে গুরুত্বের সাথে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় সেভাবে দেখিনি।’ (সহিহ বোখারি : ১/২১৮)

আশুরার রোজা কয়টি

আশুরার রোজা মূলত ১০ই মহররমের রোজা। রাসূল সা. ১০ মহররমের রোজার সঙ্গে ৯/১১ মহররমকে মিলিয়ে দুটি রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখ।’ (সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস : ২০৯৫)

ইবনে আব্বাস রা. বলছেন, তোমরা ৯ ও ১০ তারিখ রোজা রাখো (মহররমের) এবং ইহুদিদের বিরোধিতা করো। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৭৫৫)

লেখক: তরুণ আলেম ও সংবাদিক

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ