সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


অন্ধকার বা আলো বন্ধ করে নামাজ পড়া যাবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সময় মতো নামাজ আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনের অবশ্য কর্তব্য।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১০৩)

সময় মতো নামাজ আদায়ের মাধ্যমে জাহান্নামের আগুন নির্বাপিত হয়। আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর এমন একজন ফেরেশতা আছে, যে প্রত্যেক নামাজের সময় ঘোষণা করে : হে মানবসন্তান, তোমরা তোমাদের সেই আগুনের প্রতি মনোযোগী হও, যা তোমরা (পাপের মাধ্যমে) প্রজ্বলিত করেছ। সুতরাং তা নির্বাপিত কোরো।’ (সহিহ আত-তারগিব, পৃষ্ঠা ৩৫৮)

অন্ধকারে নামাজ...

সাধারণত দিনের আলো অথবা রাতের অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে নামাজ পড়া হয়। তবে কিবলা ঠিক থাকলে অন্ধকারে নামাজ পড়া যায়, অন্ধকারে নামাজ আদায় করা নিষেধ নয়। নামাজ দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সিজদার জায়গার দিকে নজর রাখা সুন্নত। কিন্তু নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য সিজদার জায়গা দেখতে পাওয়া বা দেখতে থাকা জরুরি নয়। 

এর দলিল  হিসেবে আলেমরা বলেন, একাধিক হাুদিসে এসেছে যে,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধকার ঘরে নামাজ আদায় করেছেন। যেমন, আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে আমি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিছানায় পাচ্ছিলাম না। তখন আমি আমার হাত দিয়ে খুঁজতে লাগলাম। তখন আমার হাত তার পায়ের ওপর পড়লো। তখন তার পা খাড়া ছিল আর তিনি ছিলেন সিজদারত। 

তিনি বলছিলেন, 

أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ 

(হে আল্লাহ!) আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি তোমার ক্রোধ হতে তোমার সন্তুষ্টির, তোমার শাস্তি থেকে তোমার ক্ষমার আর আমি তোমার আশ্রয় গ্রহণ করছি ...

আরেক হাদিসে আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে ঘুমাতাম, আমার পা তাঁর কিবলাহর দিকে ছিল। তিনি সিজদায় গেলে আমার পায়ে মৃদু চাপ দিতেন, তখন আমি পা গুটিয়ে নিতাম। আর তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আমি পা দু’খানা প্রসারিত করতাম। তিনি বলেন, সে সময় ঘরগুলোতে বাতি ছিল না। (সহীহ বুখারী-১/২৩, হাদীস, ৩৮২)

অন্ধকারে জামাতে নামাজ...

তবে জামাতে নামাজ পড়ার সময় কাতার সোজা করার জন্য রাত্রে আলোর প্রয়োজন। কাতার সোজা করার পর আর আলোর প্রয়োজন নেই। তাই কাতার সোজা করতে যদি কোন প্রকার অসুবিধা না হয়, তাহলে লাইট বন্ধ করে অন্ধকারেও জামাত করে নামাজ আদায় করতে কোন অসুবিধা নেই। (ফতোয়ায়ে শামী ১/৪৭৭)

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ