সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


রোজাদারের জন্য বিশেষ পুরস্কার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

|| নাজমুল হুদা মজনু ||

মাহে রমাদান শেষে সায়েমের জন্য রয়েছে রহমত বরকত নাজাতের খোশখবর। রোজা পালনকারীদের জন্য একটি বিশেষ পুরস্কারের কথা হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :  জান্নাতের রাইয়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন সওম পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তাদের ব্যতীত আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেয়া হবে, সওম পালনকারীরা কোথায়?তখন তারা দাঁড়াবে। তারা ব্যতীত আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। তাদের প্রবেশের পরই দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। যাতে করে এ দরজাটি দিয়ে আর কেউ প্রবেশ না করে। (বুখারি-১৮৯৬)

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ-অনুকরণ করা আল্লাহর হুকুম‌ই পালন করা। আর আল্লাহর হুকুম পালন করার ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিরা উত্তম নমুনা। তারা দুনিয়ার জিন্দেগিতেই জান্নাতের সার্টিফিকেট পেয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছেন আল্লাহর হাবিবের সাহাবি আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু। এ সম্পর্কিত একটি হাদিসে উল্লেখ আছে যে,

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত— রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কেউ আল্লাহর পথে জোড়া জোড়া ব্যয় করবে তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ থেকে ডাকা হবে, হে আল্লাহর বান্দা! এটাই উত্তম। অতএব যে সালাত আদায়কারী, তাকে সলাতের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে মুজাহিদ তাকে জিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে সিয়াম পালনকারী, তাকে রাইয়্যান দরজা থেকে ডাকা হবে। যে সদাকাহ দানকারী, তাকে সদাকাহর দরজা থেকে ডাকা হবে।

এরপর আবূ বকর রা. বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কুরবান হোক, সব দরজা থেকে কাউকে ডাকার কোনো প্রয়োজন নেই, তবে কি কাউকে সব দরজা থেকে ডাকা হবে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : হ্যাঁ। আমি আশা করি তুমি তাদের মধ্যে হবে। (বুখারি-১৮৯৭)

রোজা পালনকারীদের আরো সুসংবাদ ও পুরস্কার হচ্ছে— রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা পালন করে বছরব্যাপী রোজা পালনের নেকি অর্জন করা। এ সুযোগ থেকে কোনো মুমিনেরই বঞ্চিত হওয়া ঠিক নয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরো ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছর ধরেই রোজা রাখল। (মুসলিম-১১৬৪)

লেখক : আলোচক ও সাংবাদিক  

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ