সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


কোমলতা মুমিনের শ্রেষ্ঠ ভূষণ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

বিনয়,নম্রতা মুমিনের শেষ্ঠ ভূষণ । খুব সহজেই নম্রতার মাধ্যমেই মানুষের হৃদয় রাজ্য জয় করা যায়। অতীতের কোমল স্বভাবের মানুষই হৃদয়ের মণিকোঠায় আসন পেতে বসে আছে। মানুষ চলে যায় কিন্তু তার চরিত্রমাধুর্য ইতিহাসের পাতায় ভাসমান থাকে। প্রিয় নবীজি সা. ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ বিনয় ও নম্রতার মূর্তপ্রতীক।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হুজুর সা. নম্রতার সাক্ষ্য দিয়ে বলেন- আর নিশ্চয়ই আপনি সুমহান চরিত্রের অধিকারী।সূরা কলাম-৩।

(হে নবী! এসব ঘটনার পর) আল্লাহর রহমতই ছিল, যদ্দরুন তাদের  সাথে আপনি কোমল আচরণ করেছে। আপনি যদি রূঢ় প্রকৃতির ও কঠোর হৃদয় হতেন, তবে তারা আপনার আশপাশ থেকে সরে বিক্ষিপ্ত হয়ে যেত। সুতরাং তাদেরকে ক্ষমা করুন, তাদের জন্য মাগফিরাতের দুআ করুন এবং (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয়ে তাদের সাথে পরামর্শ করতে থাকুন। অতঃপর আপনি যখন (কোন বিষয়ে) মনস্থির করবেন, তখন আল্লাহর উপর নির্ভর করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদেরকে ভালোবাসেন। সূরা আলে ইমরান : ১৫৯।

বিনয়ী শুধু মানুষের কাছেই প্রিয়পাত্র হয় না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছেও মর্যাদার অধিকারী হয় । আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিনয়ীর জন্য জাহান্নাম হারাম দিয়েছেন- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- কে জাহান্নামের জন্য হারাম এবং কার জন্য জাহান্নাম হারাম? আমি কি তোমাদের সে খবর দিব? সে হল- যে মানুষের কাছাকাছি (জনপ্রিয়) এবং সহজ-সরল, নম্রভাষী ও সদাচারী। তিরিমিজী – ২৪৯০

আল্লাহর রাসূল সা. বলেন-যে ব্যক্তি নম্র-বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উচ্চাসনে আসীন করেন আর যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে অপদস্থ করেন।

আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- আল্লাহ তাআলা কোমল। তিনি সব কিছুতেই কোমলতা পছন্দ করেন। কোমলতার মাধ্যমে এমন কিছু দান করেন যা কঠোরতার কারণে দান করেন না । মেশকাত।

বিনয় ও নম্রতার বিপরীত শব্দ হল ঔদ্ধত্য, কঠোরতা, অহংকার, হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি। এগুলো মানব চরিত্রের সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্বভাব। সমাজের কিছু মানুষ সহিংস, তার হাতও অনেক শক্ত। এরা নির্দয়, অজ্ঞ, অহংকারী, কঠোর। সব কাজে তাড়াহুড়া করে। অবস্থা ও পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পারে না। যে ব্যক্তি তার কাজকর্মে নম্রতা অবলম্বন না করে, তার জন্য পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে যায়। যে তার রাগের আনুগত্য করে, সেটাই তার অভ্যাস বনে যায়। যে দয়া ও নম্রতা পরিত্যাগ করে, তার বন্ধু-সাহায্যকারীও তাকে পরিত্যাগ করে। তাদের দুঃখ-দুর্দশা কখনও শেষ হয় না।

তাই আমরা যে যেখানেই থাকবো সবাইকে কোমলতার চাদরে জড়িয়ে প্রীতির সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দান করুন। আমীন।

এমআই/

 

 

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ