সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জানাজা কিভাবে হয়েছিল?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

উত্তর : ইসলামী রাষ্ট্রে জুমআ, ঈদ ও জানাজার নামাযের ইমামতীর প্রধান হকদার হলেন রাষ্ট্রপ্রাধান। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকাল মানে ইসলামী রাষ্ট্র রাষ্ট্রপ্রধানের ইন্তেকাল। আর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পর যেহেতু সাথে সাথেই কোন রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত করা সম্ভব হয়নি। তাই বড় জামাত করার সুযোগ ছিল না। এ কারণে পৃথক পৃথক ইমামের ইমামতীতে ছোট ছোট জামাত হয়েছে।

ইমাম তিরমিজী রহ. সাহাবী হযরত সালেম বিন উবায়েদ রাঃ থেকে নিম্নবর্ণিত বর্ণনা উল্লেখ করেন। যাতে হযরত সালেম বিন উবায়েদ রাঃ হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. কে যখন রাসূল সা. এর ওফাতের খবর দিলেন, তখন-

আবু বকর সিদ্দিক রা. আমাকে বললেন, তুমি আমার সাথে আস। তিনি যখন আসলেন তখন লোকেরা রাসূল সা. এর চারপাশে ভীড় করেছিল। তিনি লোকদেরকে বললেন, তোমরা আমাকে একটু রাস্তা দাও। লোকেরা রাস্তা দিল। তিনি ভেতরে গেলেন, নত হয়ে দেখলেন এবং রাসূল সা. এর কপালে চুমু খেলেন। তারপর আয়াত পড়লেন, إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ তথা “নিশ্চয় তুমিও ইন্তেকাল করবে, এবং তারাও ইন্তেকাল করবে”।

লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসূলের সাথী! রাসূল সা. কি ইন্তেকাল করেছেন? তিনি জবাবে বললেন, হ্যাঁ। তখন লোকদের বিশ্বাস হল। তারপর সাহাবায়ে কেরাম আবু বকর রা.-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূলের বন্ধু! রাসূল-এর জানাজার নামাজ কি পড়া হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞাসা করা হল, কিভাবে? তিনি বললেন, এভাবে যে, এক এক জামাত প্রবেশ করবে এবং জানাজা পড়ে বেরিয়ে আসবে। তারপর অন্য জামাত প্রবেশ করবে। এভাবে পৃথক পৃথকভাবে প্রত্যেকেই রাসূল সা. এর উপর আলাদা আলাদাভাবে জানাজা নামাজ পড়ে নিবে]। সাহাবাগাণ আবু বকর রা.কে জিজ্ঞাসা করলেন, তাঁকে কি দাফন করা হবে? তিনি বললেন, অবশ্যই। জিজ্ঞাসা করা হল, কোথায়? তিনি বললেন, যেখানে আল্লাহ তাআলা তাঁর রূহ কবজ করেছেন সেখানেই। কেননা, আল্লাহ পাক নিশ্চয় তাঁকে এমন স্থানে মৃত্যু দান করেছেন যে স্থানটি পবিত্র। লোকদের বিশ্বাস হয়ে গেল যে, তিনি যা কিছু বলছেন তা সবই ঠিক। তারপর রাসূল সা. এর পরিবার ও বংশীয় লোকদেরকে আবু বকর রা. গোসল করানোর নির্দেশ দিলেন। সূত্র : আহলে হক্ব মিডিয়া বাংলা ।

এম আই/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ