বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৯ চৈত্র ১৪৩১ ।। ৪ শাওয়াল ১৪৪৬


‘আলেমদের পরিপুর্ণ জিম্মাদারি না থাকায় তাবলিগের ভেতরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল’


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

৫৭তম বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। চলছে শেষ দিকের প্রস্তুতি। বিশ্ব ইজতেমাকে সফল করতে এই জোড় ইজতেমার বেশ গুরুত্ব রয়েছে তাবলিগ জামাতের কাছে। তাই বিশ্ব ইজতেমার মতো হাজার হাজার মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমেই হয়ে থাকে জোড় ইজতেমার আয়োজন।

আর মাত্র কয়েকদিন বাকি শেষ মুহূর্তে এসে কতটুকু প্রস্তুত হলো দিয়াবাড়ির জোড় ময়দান? বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে জোড় ইজতেমার গুরুত্ব ও প্রভাব কেমন? তাবলিগ জামাতের মেহনতে আলেমদের সম্পৃক্ততা আরো কীভাবে বাড়ানো যায়? এসব বিষয়ে আওয়ার ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন উত্তরা জামিয়াতুল মানহাল আল ইসলামিয়ার মুহতামিম ও আলমি শূরাপন্থী তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আওয়ার ইসলাম সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব

এ বছর ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে জোড় ইজতেমা। সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে যদি বলতেন।

আলহামদুলিল্লাহ অনেকটাই সম্পন্ন তবে কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি শেষ হবে।

বিশ্ব ইজতেমার আগে জোড় কেন হয়ে থাকে?  বিশ্ব ইজতেমায় এর প্রভাব ও গুরুত্ব কতটুকু?

জোড় মূলত পুরনো সাথীদের মজমা। বিশেষ করে যারা এক চিল্লা, দুই চিল্লা, তিন চিল্লা দিয়েছেন। জোড়ে হেদায়েতের কথা বলেন দেশ-বিদেশের মুরুব্বিগণ এবং আগামীতে তাবলিগের মেহনতকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে সম্পর্কেও আলোচনা করেন। এছাড়া বিশ্ব ইজতেমাকে সফল করা এবং এর দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার জন্যই জোড় ইজতেমা হয়ে থাকে। এসব বিবেচনায় জোড় বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

সাম্প্রতিক সময়ে ওলামায়ে কেরাম তাবলিগের কাজকে আপন করে নিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে দাওয়াত ও তাবলীগের সাথে আলেমদের সম্পৃক্ততা আরও ব্যাপকতর করতে তাবলীগের মুরুব্বিগণ কী পদক্ষেপ নিতে পারেন? 

ওলামায়ে কেরাম শুরু থেকেই তাবলিগের কাজকে মহাব্বত করে আসছেন। আর এখন ওলামায়ে কেরাম আগের চাইতে অনেক বেশি জান-মাল ও সময় দিয়ে তাবলীগের সাথে লেগে থাকার চেষ্টা করছেন। মূলত এটা তারা তাদের জিম্মাদারী হিসেবেই করছেন।

ইতিপূর্বে ওলামায়ে কেরামের পরিপুর্ণ জিম্মাদারি না থাকার কারণে দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ তাবলিগের ভিতরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। দ্বীনের হেফাজত যেমন জরুরি তেমনি দ্বীনের শাখা দাওয়াত ও তাবলিগের হেফাজতও জরুরি। ওলামায়ে কেরাম এর দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। সেই জায়গা থেকেই তারা মূলত এগিয়ে এসেছেন। 

আর মুরুব্বিদের কাছে আমার আবদার থাকবে, কাজটি যেহেতু দ্বীনি কাজ সেহেতু এ কাজটি ওয়ারাসাতুল আম্বিয়াদের অধীনে পরিচালনা করতে হবে। এলাকাভিত্তিক যত দ্বীনি কাজ আছে সেখানে ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে মাশওয়ারা করে চললে কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পাদিত ও মাকসাদ অর্জিত হবে।

এবারের জোড় ইজতেমায় বিদেশি মেহমান এবং মুসল্লিদের সংখ্যা কেমন থাকবে?

এ বিষয়টি সঠিক আমার জানা নেই। 

কওমি মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষার কিছুদিন আগে ইজতেমার তারিখ ঘোষণা হয়েছে আর এ কারণেই মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার আছে ?

এটি ভাবনার বিষয়। বিশ্ব ইজতেমা আর মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষা পাশাপাশি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর বিশ্ব ইজতেমা হলো আমাদের হৃদয়ের খোরাক। আমাদেরকে একটু কোরবানি করতে হবে। আর বড়দের থেকে যে ফয়সালা আসবে, সে সিদ্ধান্ত মানার মাদ্দা আমাদের ওলামায়ে কেরামের ভেতরে আছে বলে মনে করি। আগামী দিনে এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের মুরুব্বিরা ভাববেন।  এবং কাকরাইলের মুরুব্বি কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইয়াতুল উলয়ার মুরুব্বিগণ মশওয়ারা করে জাতিকে জানাবেন আশকরি।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ