বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১৯ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
২৩ এপ্রিল ভারতের দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিলের ডাক খেলাফত মজলিসের শোভাযাত্রায় অংশ না নেওয়ায় ইবির খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীদের খাবার বন্ধ বানিয়াচংয়ে বোরো ধান কাটার উৎসব পদ্মার চরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, শতাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা শামীমাবাদ মাদরাসায় দাওরায়ে হাদীস জামাত ও ইফতেতাহী সবকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঢাকা-২ আসনে জামায়াত প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ আস-সুন্নাহর মাধ্যমে আবদুর রশিদের ভাগ্য ফেরার গল্প এবার ভোলায় ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ জামাত আমির ও মার্কিন কূটনীতিকের বৈঠক: নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সমমনা ইসলামী দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত

গাজায় নতুন করে হামলা, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এলো ভয়াবহ তথ্য


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগ্রহিত

যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর গাজায় নতুন করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এবারের হামলার ভয়াবহতা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ফিলিস্তিনিরা বলছেন, এ দফায় বিশ্ব এগিয়ে না এলে তাদের বাঁচার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। সোমবার (৭ এপ্রিল) জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এর প্রতিধ্বনি উঠে এসেছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করার পর থেকে গাজা উপত্যকায় প্রায় ৪ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের মানবিক সহায়তার সহকর্মীরা আমাদের জানিয়েছেন- গাজাজুড়ে ইসরায়েলি আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে নিয়মিতভাবে ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে। গাজার অনেক শিশু নিহত এবং আহত হচ্ছে। অনেকে জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, গাজাজুড়ে বেঁচে থাকা মানুষদের বারবার বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে। এমন এক সংকুচিত স্থানে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে যেখানে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব।

গাজায় নতুন করে হামলা, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এলো ভয়াবহ তথ্য
ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত
জাতিসংঘের হাতে আসা তথ্য উপস্থাপন করে ডুজারিক বলেন, সামগ্রিকভাবে আমরা অনুমান করি যে- যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে প্রায় ৪ লাখ মানুষ আবারও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এটি গাজার মোট ফিলিস্তিনির ১৮%।

ডুজারিক আরও জোর দিয়ে বলেন, বাস্তুচ্যুতদের নিরাপত্তা এবং বেঁচে থাকার জন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এর দায়িত্ব দখলদার শক্তি হিসাবে ইসরায়েলের ওপর বর্তায়।

জাতিসংঘ প্রায় ইসরায়েলি হামলার সমালোচনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। অথচ বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রশাসন এসবের কোনো তোয়াক্কাই করেন না। শুধু তাই নয়, গাজায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরাও হামলার শিকার হচ্ছেন। ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন স্থাপনা।

যেমন- গত ২ এপ্রিল উত্তর গাজায় জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালায়। কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই হামলাটি করা হয়। এতে অন্তত ২২ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা এই হামলাকে সম্পূর্ণ যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করে বিশ্ব সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করে। তবে ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ইসরায়েলের ওপর কার্যত কোনো বিশ্বচাপ দৃশ্যমান হয়নি।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ