সুইডেনে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় যুবক সালওয়ান মোমিকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনের বেশ কয়েকটি কপি পুড়িয়ে মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিলেন সালওয়ান মোমিকা। ২০২৩ সালে সুইডেনে রাজধানী স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে একবার এবং পরবর্তীতে দেশটির ইরাকি দূতাবাসের বাইরে আবারও এই ঘটনা ঘটান তিনি।
মুসলিম বিশ্ব থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও বাকস্বাধীনতা আইনের অজুহাতে সুইডিশ পুলিশ এই ধর্ম অবমাননাকর কাজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তবে, গতকাল (বুধবার) ওই যুবককে সুইডেনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অনলাইন বিবিসি ও বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, গত বুধবার সন্ধ্যায় স্টকহোমের সোদারটালজেতে একটি এপার্টমেন্টে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
২০২৩ সালে স্টকহোম সেন্ট্রাল মসজিদের বাইরে মুসলিমদের ধর্মীয় গ্রন্থে অগ্নিসংযোগ করেন মোমিকা। এর ফলে সৃষ্টি হয় অস্থিরতা।
পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, তাকে হত্যার পর বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে ৫ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
উল্লেখ্য, সালওয়ান মোমিকা একজন ইরাকি। তিনি বসবাস করতেন সুইডেনে। তার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে চারটি ঘটনায় একটি জাতিগত গ্রুপের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেয়। এ কারণে অন্য একজনের সঙ্গে অভিযুক্ত হন তিনি। এই ঘটনার রায় দেওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু স্টকহোম ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট বলেছে, দুই আসামির মধ্যে একজন নিহত হওয়ার ফলে রায় ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে।
বিবিসি লিখেছে, সালওয়ান মোমিকা ইসলামবিরোধী ধারাবাহিক প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন। এতে বহু মুসলিমের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত দেশে বিক্ষোভ। বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসে দুবার প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরাকের সঙ্গে সুইডেনের কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ফলে বাগদাদ থেকে বহিষ্কার করা হয় সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে।
এমএইচ/