শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সেই বিতর্কিত ব্যক্তি আটক জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ

সিরিয়ায় আসাদের পতনের শঙ্কা, সেনাদের সরিয়ে নিচ্ছে ইরান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

উত্তর-দক্ষিণ থেকে শহর দখল করতে করতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দিকে এগুচ্ছে ক্ষমতাসীন বাশার আল আসাদ সরকার বিরোধীরা। দক্ষিণে দারা ও উত্তরে হামার পর গুরুত্বপূর্ণ হোমস শহর দখলের চেষ্টা করছে বিদ্রোহীরা। এদিকে আসাদের সম্ভাব্য পতন আশঙ্কা করে সিরিয়া থেকে সেনা কর্মকর্তা ও নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইরান।

আঞ্চলিক কয়েকজন কর্মকর্তা ও অন্তত তিনজন ইরানি কর্মকর্তার বরাতে শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

কর্মকর্তারা জানান, সিরিয়া থেকে প্রতিবেশি ইরাক ও লেবাননে সরিয়ে নেওয়া সেনাসদস্যদের মধ্যে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরকে (আইআরজিসি) আওতাধীন কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডাররা রয়েছেন।

ইরানের এ পদক্ষেপ বাশার আল-আসাদের জন্য তেহরানের নীতিতে উল্লেখযোগ্য বাঁকবদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেননা, সিরিয়ায় আসাদ সরকারের অন্যতম মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইরানকে। এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা সিরীয় গৃহযুদ্ধে আসাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তেহরান।

কুদস ফোর্সের সেনাদের পাশাপাশি সিরিয়া থেকে নিজেদের বেশ কিছু কূটনৈতিক কর্মী, তাদের পরিবারের সদস্য ও বেসামরিক ইরানিদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

রাশিয়ার পাশাপাশি ইরানও বাশার আল-আসাদের সিরীয় সরকারের অন্যতম শক্তিশালী সমর্থক, ঘনিষ্ঠ মিত্র।

এদিকে সিরিয়ার সেনাবাহিনী যদি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে, তবে ইরান ও হিজবুল্লাহ সিরিয়ায় তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারে। এ বিষয়ে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল দুটি সম্ভাবনার বিষয়ে শঙ্কিত—একদিকে সিরিয়ার ইসলামপন্থি শাসন এবং অন্যদিকে ইরানের প্রভাব বৃদ্ধি।

ইসরায়েলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা চাই সিরিয়ার বিদ্রোহী এবং সরকারপক্ষ পরস্পরকে দুর্বল করুক। তবে আমরা সরাসরি কোনও পক্ষের সঙ্গে জড়িত হব না।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এনএ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ