শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সেই বিতর্কিত ব্যক্তি আটক জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ

বাংলাদেশিদের ভাড়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত আসামের হোটেল মালিকদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কথিত সংখ্যলঘু নির‌্যাতনের অজুহাতে বাংলাদেশিদের ভাড়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিলেটের সীমান্তঘেঁষা আসামের বারাক উপত্যকার হোটেল মালিকরা। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ নিপীড়ন না থামবে- ততক্ষণ তারা কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে হোটেল ভাড়া দেয়া বন্ধ রাখবেন। শুক্রবার বারাক উপত্যকা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের কাছাড়, শ্রীভূমি (আগে ছিল করিমগঞ্জ) এবং হাইলাকান্দি জেলা নিয়ে গড়ে উঠেছে বারাক উপত্যকা। বাংলাভাষী এই অঞ্চলটির বাংলাদেশে সিলেট বিভাগের সঙ্গে প্রায় ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে।

বারাক উপত্যকা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল রায় বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অবস্থা উদ্বেগজনক। আমরা এটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বারাক উপত্যকার তিনটি জেলার সব হোটেল ও রেস্তোরাঁর পক্ষ থেকে কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে আতিথ্য দেয়া হবে না। এটিই আমাদের প্রতিবাদ।

বাবুল রায় আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে অবশ্যই দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে। যদি পরিস্থিতি উন্নত হয়, তবে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারি।

এদিকে, সম্প্রতি ভারতীয় রাজনৈতিক দল বজরং দল আসামের শিলচরের একটি হোটেলে চলমান একটি আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের পণ্য বিক্রি করা দুটি স্টল বন্ধ করার অনুরোধ জানায় হোটেল কর্তৃপক্ষকে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ হিসেবে এই দাবি জানানো হয়। পরে এই দাবি মেনে নেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ কয়েকটি জেলার হোটেল ব্যবসায়ীরাও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেন। ৯৩টি হোটেলের মালিকদের সমন্বয়ে গঠিত মালদহ হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, আমাদের সদস্যরা বাংলাদেশে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ ও জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনায় গভীরভাবে ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশি অতিথিদের আমাদের হোটেলগুলোতে থাকার অনুমতি দেব না।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ