শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’ সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নেবেন রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হলেন মুন্সিগঞ্জের নিরব ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু বাজারে এলো ইনফিনিক্সের সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন বৈষম‌বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন: বেঁচে ফেরার আশা করেনি সানিয়াত মুসলিম কমিউনিটি কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: অর্থের অভাবে অনেক আহতের হচ্ছে না চিকিৎসা কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘কুরআন সবক অনুষ্ঠান’র উদ্বোধন

‘কীসের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে আশ্রয়’, প্রশ্ন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে তাকে অভিযুক্ত করলে শেখ হাসিনার আশ্রয় পাওয়ার  প্রক্রিয়া নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেন তিনি।

রোববার (৩ নভেম্বর) গড়ওয়া আসনের রাঙ্কায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা করার সময় হেমন্ত সোরেন বলেন, আমি জানতে চাই, বিজেপির কি বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো অভ্যন্তরীণ সমঝোতা আছে? আমাদের জানান, কীসের ভিত্তিতে আপনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে অবতরণ এবং আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।

সোরেনের দাবি, ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে, আর রাজ্যের মানুষ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কারণে সৃষ্ট দূষণ মোকাবিলা করছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি রোববার তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। সেখানে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ‘অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়ার’ অভিযোগ করেন অমিত শাহ। বিশেষ করে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে বক্তব্য দেন অমিত শাহ।

এর প্রতিক্রিয়ায় হেমন্ত সোরেন বলেন, সীমান্ত পাহারা দেওয়া এবং অনুপ্রবেশ রোধ করা কি কেন্দ্রের দায়িত্ব নয়? এতে রাজ্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।  অনুপ্রবেশকারীরা আপনার (বিজেপি) শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করে। আপনি সেখানে অনুপ্রবেশ খতিয়ে দেখেন না কেন?

উল্লেখ্য, চলতি নভেম্বর মাসেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরকদমে কাজ করছে বিজেপি। ওই রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ। মূলত এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিজেপির প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে অনুপ্রবেশ সমস্যা। আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনে দু’দফায় বিধানসভা ভোট হবে। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ২৩ নভেম্বর।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ