সুপরিচিত ইসলাম প্রচারক ও আলোচক ডা. জাকির নায়েক বলেছেন, মুসলমানদের শোচনীয় অবস্থার জন্য পারস্পরিক অনৈক্য ও দ্বন্দ্বই দায়ী। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের মাঝে ভেদাভেদ না থাকলে আমরা বিশ্বের সবথেকে বড় পরাশক্তি হতে পারতাম।
সম্প্রতি পাকিস্তানের লাহোরে ঐতিহাসিক বাদশাহী মসজিদে এক কনফারেন্সে জাকির নায়েক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনে মানুষকে শান্তিতে বসবাসের পদ্ধতি শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। মুসলমানদের ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ডা. জাকির নায়েক বলেন, বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা দু্ই বিলিয়নেরও বেশি। এরপরও ফিলিস্তিনিদের সবার সামনে হত্যা করা হচ্ছে। আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখলে আমরাই বিশ্বের পরাশক্তি হতে পারবো।
দীর্ঘ এক মাসের পাকিস্তান সফরে আছেন জাকির নায়েক। সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন ছেলে ফারিক নায়েক ও টিম জাকির নায়েকের কয়েকজন সদস্য। করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে বক্তব্য রাখছেন এই ধর্ম প্রচারক।
ডা. জাকির নায়েক বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি বিখ্যাত। নিজ দেশ ভারতে আইনি জটিলতার কারণে ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন তিনি। সে বছর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক সন্ত্রাসী হামলা হয়।
ওই হামলায় জড়িত এক সন্ত্রাসী ইউটিউবে জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে প্রভাবিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এই ইসলাম প্রচারকের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (বর্তমানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা) প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করে। ভারতের পক্ষ থেকে তাকে প্রত্যার্পণের অনুরোধ জানানো হলেও মালয়েশিয়া তাতে সাড়া দেয়নি।
এনএ/