হজযাত্রীর ছদ্মবেশে আর ভিক্ষুক না পাঠাতে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের সৌদি আরবে ঢোকা রোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। দেশটি সতর্ক করে বলেছে, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা পাকিস্তানি ওমরাহ ও হজযাত্রীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় পাকিস্তানের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করেছে এবং পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের ওমরাহ ভিসার আওতায় দেশটিতে প্রবেশে বাধা দিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, সৌদি সরকারের বার্তা পাওয়ার পর ধর্ম মন্ত্রণালয় ‘ওমরাহ আইন’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার লক্ষ্য হবে ওমরাহর উদ্দেশে নাগরিকদের ভ্রমণের সুবিধা প্রদানকারী ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা, তাদের আইনি তত্ত্বাবধানে আনা।
সেই সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয় দেশটির সরকারকে ধর্মীয় বিধি পালনের আড়ালে ভিক্ষুকদের সৌদি আরবে ভ্রমণ থেকে বিরত রাখার উপায় খুঁজে বের করতে আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে, সৌদি রাষ্ট্রদূত নাওয়াফ বিন সাইদ আহমেদ আল-মালকির সঙ্গে বৈঠকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি আশ্বস্ত করেছিলেন যে, সৌদি আরবে ভিক্ষুক পাঠানোর জন্য দায়ী মাফিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে (এফআইএ) এই নেটওয়ার্ক গুঁড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, হজে ভিক্ষুকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরের মে মাসে সৌদি সরকার ফতোয়া জারি করেছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, অনুমতি ছাড়া হজ করতে আসতে দেওয়া হবে না সেদেশে। বেআইনিভাবে কেউ আসলে তাঁকে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা দিতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। গত বছর সেপ্টেম্বরেও হজযাত্রীর ছদ্মবেশে থাকা ১৬ জন ভিক্ষুককে সৌদি আরবগামী একটি বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গত বছর এক আন্তর্জাতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিদেশে গ্রেপ্তার হওয়া ভিক্ষুকদের ৯০ শতাংশই পাকিস্তানের নাগরিক।
হাআমা/