ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি তাঁবু ক্যাম্পে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বর্বর হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬০ জন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) গাজা অঞ্চলের বেসামরিক জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি অঞ্চলে ২০টির বেশি তাঁবু ক্যাম্পে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
তারা আরও জানায়, হামলার পর উদ্ধারকর্মীরা একটি তাঁবু ক্যাম্পে প্রায় ৯ মিটার গভীর গর্ত খুঁজে পায়। হামলার পর সেখানে আগুন ধরে গেছে বলে জানিয়েছে তারা। সে সময় ইসরায়েলি নজরদারি বিমান ঘোরাফেরা করতে দেখেছিল বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এদিকে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা বন্দুকের মুখে জাতিসংঘের কর্মীদের আটক ও যানবাহন ভাঙচুর করার ঘটনায় উত্তর গাজায় জাতিসংঘের পোলিও টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। এ কর্মসূচি মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল।
গতকাল সোমবার ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার ৬ লাখ ৩০ হাজার শিশুর আর স্কুলে আসা হবে না। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধের ফলে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর সবাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছেন। ফলে দ্বিতীয় বছরেও স্কুলে আসা হচ্ছে না এ সব শিশুর।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ফলে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হচ্ছে শিশুদের। চরম অবস্থা পার করছে তারা। একদিকে খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট, অন্যদিকে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। ফলে অপুষ্টিতে ভুগছে হাজার হাজার শিশু।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৯৫ হাজার মানুষ। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলের এক হাজার ১৩৯ জন নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়াও ২০০ জনের বেশি মানুষ বন্দি রয়েছে।