ভারতের টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ভারতে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দাবি করা হয়, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত এগিয়ে চলা অর্থনীতির দেশ ভারত। অথচ দ্রুত এগিয়ে চলা সেই ভারত ছেড়ে ‘পালাতে’ আগ্রহী কোটিপতিরা।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। যেখানে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ভারত ছেড়ে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন চার হাজার ৩০০ কোটিপতি। শুধু তাই নয় রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ভারত ছেড়ে বেশিভাগই পছন্দের জায়গা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন মুসলিম দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে।
ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ফ্রম হেনলে অ্যান্ড পাটনার্স-এর তরফে সম্প্রতি এক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্বদেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া ধনীদের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে চীন ও ব্রিটেন। এর পর তালিকায় তৃতীয় স্থানে নাম উঠে এসেছে ভারতের।
রিপোর্টে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর ভারত ছেড়ে ভিন দেশে চলে যাওয়া ব্যবসায়ী ও কোটিপতির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৫ হাজার ১০০। এ বছর মাত্র ছয় মাসেই সংখ্যাটা পৌঁছে গেছে চার হাজার ৩০০ তে। ফলে আগামী আরো ছয় মাসে সংখ্যাটা আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে কেন ধনীরা নিজ দেশ ভারতের প্রতি অনিহা দেখিয়ে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিচ্ছেন? এ প্রসঙ্গে একাধিক কারণ উঠে আসছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ভারতের ব্যবসায়িক নীতি। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মুষ্টিমেয় একটি শ্রেণিকে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দিয়ে চলেছে মোদি সরকার। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তুলনায় কিছু কম প্রতিপত্তিশালী ব্যবসায়ীদের। ভারতের মাটিতে খুব একটা সুবিধা করতে না পেরেই বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ঝুঁকছেন বিদেশের দিকে।
এছাড়াও, বিজেপি জমানায় ধর্মীয় বিভাজন ও ঘৃণার পরিবেশ মাত্রা ছাড়া হয়ে ওঠার অভিযোগ তুলেও দেশ ছাড়ার সংখ্যা বেড়েছে বলে দাবি করছে বিশেষজ্ঞ মহল। যেভাবে হাজারে হাজারে কোটিপতি ভারত ছেড়ে ভিন দেশের নাগরিকত্ব নিচ্ছেন তা উদ্বেগজনক বিষয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
বিনু/