ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ আরও তীব্র হয়েছে। বিশেষ করে অনেক বেসামরিক লোক আটকে পড়া উত্তর গাজায় এ হামলা তীব্রতর হয়েছে।
এমন হামলার মধ্যেই উত্তর গাজার বাসিন্দাদের আবারও দক্ষিণে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছে এবং জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে নিহত হয়েছে আরও ছয়জন। ইসরায়েলি হামলায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের প্রধান পানির ট্যাংক ধ্বংস হয়ে গেছে।
এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের জেরুজালেম ও ঐতিহ্য বিষয়ক মন্ত্রী আমিচাই ইলিয়াহু বলেছেন, প্রয়োজনে গাজায় পারমাণবিক বোমা ফেলবে ইসরায়েল। এক রেডিও সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, গাজায় সবাই যোদ্ধা (হামাস), অবরুদ্ধ ছিটমহলটিতে মানবিক সহায়তা প্রদান ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য ব্যর্থতা বয়ে আনবে।
তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, যেহেতু আপনার মতে গাজায় সবাই যোদ্ধা এবং সেখানে কোনো বেসামরিক লোক নেই; সেক্ষেত্রে গাজায় পারমাণবিক হামলা কোনো বিকল্প হতে পারে কি না? উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ এটিও একটি অপশন (বিকল্প) হতে পারে।
ইলিয়াহুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইলিয়াহুর মন্তব্য বাস্তবতাবিবর্জিত। ইসরায়েল এবং তার সামরিক বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেসামরিক ক্ষতি এড়াতে কাজ করছে।
পরে এক সরকারি আদেশে নেতানিয়াহুর কার্যালয় ইলিয়াহুকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি বৈঠক থেকে বরখাস্ত করেছে।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯ হাজার ৪৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১৪শ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
এনএ/