শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম  ‘সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন’ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসানের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোকপ্রকাশ

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাইডেনের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির শর্তে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের এ পর্যায়ে বিরতি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (১ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে এক প্রচারণা সমাবেশে বক্তৃতায় এমন আহ্বান জানান তিনি।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সমাবেশ চলাকালে আইনের শিক্ষক জেসিকা রোজেনবার্গ বাইডেনের বক্তব্যের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট, আপনি ইহুদি লোকজনের দিকে খেয়াল রাখেন। একজন ইহুদি হিসেবে আমি চাই, আপনি এখনই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।

এ সময় বাইডেন তার দাবির জবাবে বলেন, আমার মনে হয়, এখন একটি বিরতি দরকার। রোজেনবার্গ আবার বাইডেনের কথায় বাধা দিয়ে বলেন, কীসের বিরতি? জবাবে বাইডেন বলেন, এই বিরতির মানে, হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির জন্য সময় দেওয়া দরকার।

বাইডেন আরও বলেন, আমি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। গুরুতর আহত ও বিদেশিরা যাতে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সে বিষয়ে আমি মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও আলাপ করেছি।

বাইডেনের সামনে থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা যখন রোজেনবার্গকে সরিয়ে নিচ্ছিলেন, তখন তিনি স্লোগান দিতে থাকেন যে, এখনই যুদ্ধবিরতি চাই।

বাইডেন তার বক্তব্যে বলতে থাকেন, ইসরায়েল ও মুসলিম বিশ্ব উভয় পক্ষের জন্যই পরিস্থিতি খুব জটিল হয়ে পড়েছে। একদম প্রথম থেকেই আমি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করি, কিন্তু বাস্তবতা হলো, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের নির্মূলের প্রয়োজন রয়েছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো ইসরায়েলি হামলার সবচেয়ে বড় সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার জবাবে গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেই হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এমন বর্বর হামলার জেরে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও, ইসরায়েলকে নগ্ন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। অসম এ যুদ্ধে শুরু থেকেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পাশে ছিলেন জো বাইডেন। যুদ্ধের পর কয়েকবার তেল আবিবেও সফর করেছেন তিনি। ইসরায়েলের সহায়তায় দুটি বিমানবাহী রণতরীসহ প্রায় এক হাজার সেনা পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন।

নেতানিয়াহুকে এমন অযৌক্তিক সমর্থনে নিজ দেশেই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন বাইডেন। প্রতিবাদের মুখে হামাসকে নির্মূলে ইসরায়েলকে দেওয়া বিশাল অঙ্কের অর্থসহায়তাও দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে আটকে গেছে। এমনকি, বাইডেনের এমন আচরণের জেরে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনকে ভোট না দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন আমেরিকান মুসলিমরা।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ