জয় নিশ্চিত না হলে গাজায় এখনই যুদ্ধ বিরতি নয়। স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেন ইয়ামিন নেতানিয়াহু। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে সোমবার (৩০ অক্টোবর) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হামাসকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হবে না।’
এমনকি সাংবাদিক সম্মেলনের সময়েও যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে না। নেতানিয়াহুর বক্তব্য, ‘যতক্ষণ ইসরায়েলের জয় নিশ্চিত না হচ্ছে, ততক্ষণ লড়াই অব্যাহত থাকবে। হামাসকে ছাড় দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই।’
গতকাল সোমবার ডিডাব্লিউয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস। তিনি বলেন, ‘গাজার বেসামরিক মানুষ আমাদের শত্রু নয়। আমাদের লক্ষ্য হামাস। ওই অঞ্চলের বেসামরিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য যা যা করা প্রয়োজন ছিল, আমরা তার সবটাই করেছি।’
তবে নেতানিয়াহুর মতো তিনিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আপাতত যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার কোনো সম্ভাবনাই নেই। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করেই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হবে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক ত্রাণ সংস্থার প্রধান নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইসরায়েলের মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেছেন। ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘হামাসকে শাস্তি দিতে গিয়ে ইসরায়েল সার্বিক শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। সাধারণ বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গাজায় এখন কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়।’
বস্তুত ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়ার পরেই তাদের ট্যাঙ্ক ও স্থল সেনা গাজায় ঢুকেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, যেভাবে ইসরায়েলের সেনা গাজায় হামলা চালাচ্ছে, তাতে গাজা উপত্যকার কোনো অঞ্চলই এখন আর নিরাপদ নয়।
এদিকে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে মুখ খুলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র, এমনই অভিযোগ করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী ইউরোপীয় দেশগুলো।’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, এই সমস্যার একমাত্র সমাধান স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন। সম্প্রতি রাশিয়ার একটি বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলায় পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম ও ইউক্রেনের হাত থাকতে পারে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
সুত্র: ডয়চে ভেলে
এনএ/