ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় স্থলসেনারা যে অভিযান চালাচ্ছে, তা সহজে বন্ধ হবে না। রোববার (২৯ অক্টোবর) তিনি বলেন, পরিস্থিতি খুব সহজে স্বাভাবিক হবে না। গাজার লড়াই শেষ হতে সময় লাগবে।
রোববার দুপুরেও একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, গাজায় বেসামরিক মানুষ কী অবস্থায় আছে, তার কোনো খোঁজ মিলছে না। ইন্টারনেট পরিষেবাও পুরোপুরি ব্যাহত হয়েছে। তবে এদিন রাত থেকে ধীরে ধীরে গাজায় ইন্টারনেট সংযোগ সচল হতে শুরু করে বলে জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এদিকে, হামাস দাবি করেছে যে রোববার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে তাদের। হামাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় আধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের সৈন্যরাও তুমুল লড়াই চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী ও দেশীয় গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতাকে দায়ী করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তার ওই মন্তব্যে এরই মধ্যে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন জরুরি মন্ত্রিসভায় ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য জেরুজালেম পোস্ট। এমনকি, ওই মন্তব্যের জেরে সৃষ্টি রাজনৈতিক উত্তাপের মুখে ক্ষমাও চেয়েছেন নেতানিয়াহু।
জেরুজালেম পোস্ট বলে, রোববার মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নেতানিয়াহু যে পোস্ট দিয়েছিলেন, তাতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে তার বিবাদ থাকার বিষয়টি সবার সামনে চলে আসে। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হতে শুরু করায় এক্সে দেওয়া ওই পোস্ট ডিলিট করে দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। পরে সামরিক বাহিনী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে ক্ষমা চান তিনি।
এদিকে, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের সংঘাত সমানুপাতিক নয়। ৭ অক্টোবর যে ঘটনা ঘটেছিল, তা ভয়াবহ। কিন্তু হামাসের হামলায় ১৪০০ নিহত হয়েছিল। আর ২০০ জনের কিছু বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত আট হাজার বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শহর ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলের এই আচরণ সমানুপাতিক নয়।
আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর রোববার গাজা ও রাফাহ সীমান্ত সফরে গিয়েছিলেন। ওই আদালতের এক কর্মী নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বোমা হামলা পুরো ফিলিস্তিনকে বিপাকে ফেলেছে। জীবন সেখানে দুর্বিসহ হয়ে গেছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এনএ/