গত তিন সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। জাতিসংঘ বারবার তাগাদা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে হতাহতের সংখ্যা। নিহত বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন জাতিসংঘের কর্মীরাও।
রবিবার এক ঘোষণায় বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজায় ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সির (ইউএনআরডব্লিউএ) ৫৯ কর্মী নিহত হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা বিবৃতি অনুসারে, গাজায় হামলায় প্রাণ হারানো ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীদের স্মরণে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরো বলা হয়, সহকর্মীদের প্রাণহানি বাড়তে থাকায় জাতিসংঘ ও ইউএনআরডব্লিউএর জন্য প্রতিটি দিন এক-একটি অন্ধকার দিন হয়ে আসে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিন প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। এতে এক হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে আসা হয় দুই শতাধিক মানুষকে।
এরপর থেকে গাজায় পাল্টা বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে প্রতিদিন বাড়ছে প্রাণহানি। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৫ জন। এর মধ্যে তিন হাজার ৩৪২ শিশু, দুই হাজার ৬২ জন নারী ও ৪৬০ জন বয়স্ক মানুষ।
এদিকে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গাজায় স্থলঅভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। বোমা হামলা ও অবরোধের কারণে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে গাজায়। ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকায় খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও ওষুধের সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, মিডল ইস্ট মনিটর, আল জাজিরা
কেএল/