গাজার সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী স্থল আক্রমণ জোরদার করায় হামাস তাদের যোদ্ধাদের নিয়ে পুরো শক্তি দিয়ে ইসরায়েলি হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। এই যুদ্ধে হামাসকে সহযোগিতা করছে পশ্চিম এশিয়ার আর এক শক্তিশালী দেশ ইরান। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাও হামাসের সমর্থনে অস্ত্র ধরা এবং ইসরায়েলে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, গাজায় ঢুকে স্থল অভিযান চালানোর পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিল ইসরায়েল। তবে কবে কখন সেই অভিযান শুরু হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
যেকোনও মুহূর্তে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার স্থল অভিযান শুরু করে তেল-আবিব। ক্রমাগত বিমান হামলায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজারের ওপর ছাড়িয়ে গেছে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে হামাস ইসরায়েলকে সর্ব শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি টেলিভিশন সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, গত কয়েকদিনে চালানো হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল সামরিক বাহিনী আজ রাতে তাদের স্থল অভিযান প্রসারিত করছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের বিমান বাহিনী হামাসের খনন করা টানেল এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে হামাসের সশস্ত্র শাখা শুক্রবার গভীর রাতে বলেছে, তাদের যোদ্ধারা গাজার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেইত হানুন এবং আল-বুরিজের কেন্দ্রীয় এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
আল-কাসাম ব্রিগেড এবং সমস্ত ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী সম্পূর্ণ শক্তির সাথে (ইসরায়েলের) আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে এবং তার অনুপ্রবেশকে হতাশ করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত বলে হামাস শনিবারের প্রথম দিকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
হামাস ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে উল্লেখ করে আরও বলেছেন, নেতানিয়াহু এবং তার পরাজিত সেনাবাহিনী কোনো সামরিক বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হবে না।
ইসরায়েলি স্থল বাহিনী আক্রমণের জন্য গাজার বাইরে অবস্থান করেছে।
উল্লেখ্য গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের উপর শত শত হামাস বন্দুকধারীদের হামলার পর থেকে ইসরায়েল তীব্র বোমা হামলা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় ইসরায়েল বলেছে ১৪ শ’জন নিহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক লোক এবং ২০০ জনেরও বেশি জিম্মি হয়েছে। যাদের মধ্যে কিছু বিদেশী নাগরিক বা দ্বৈত ইসরায়েলি নাগরিকত্ব রয়েছে।
এরপর ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গত শুক্রবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হামাসকে তার টানেল এবং অপারেশনাল কেন্দ্রগুলোকে যুদ্ধের জন্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সুত্র: রয়টার্স
এনএ/