বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ।। ১৪ কার্তিক ১৪৩১ ।। ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬


গাজার হাসপাতালে মৃত্যু হতে পারে চিকিৎসাধীন অনেক শিশুর 


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর তিন সপ্তাহ কেটে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ইসরায়েলি এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং এদের ৪০ শতাংশ শিশু। 

হামলার পাশাপাশি গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। ফলে সেখানে যারা বেঁচে আছেন তাদেরও পড়তে হচ্ছে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে। আহতদের চিকিৎসাও শঙ্কার মুখে পড়ছে। 

আহত এক শিশুর বাবা শরিফ আল আখরাস তার শিশুকে দেখিয়ে বলেন, এই শিশুরাও কি ইসরায়েলের শত্রু? এরা কি অপহরণ করেছে? হামলা করেছে? 

ইসরায়েলি হামলায় বাবা-মা নিহত হওয়ায় অনেক শিশুর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাবা-মা হারানো এক শিশু সালমার আকুতি— তোমরা আমার বাবা-মা আর ভাইকে এনে দাও। আমার বোনের মাথা দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। আমার মা ধ্বংস্বস্তুপের নিচে চাপা পড়েছে। 

এদিকে হতাহতের সংখ্যা বাড়ায় চাপ বাড়ছে গাজার হাসপাতালগুলোতে। অন্যদিকে ফুরিয়ে আসছে হাসপাতালের জ্বালানি। ডাক্তাররা বলছেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে মারা যাবে চিকিৎসাধীন অপরিণত শিশুরা। 

আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক নাসের বুলবুল বলছেন, আমি সবাইকে আহ্বান করছি হাসপাতালের এরই জরুরি বিভাগের জন্য দয়া করে প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করুন। না হলে আমাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এ বিভাগে ৫০টি শিশু এখন চিকিৎসাধীন আছে। যদি বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে তবে ৫ মিনিটের মধ্যে সব শিশু মারা যাবে। 

জাতিসংঘ বলছে, হাসপাতালের জ্বালানি এখন বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে এসেছে। প্রায় ৬০ হাজার লোক হাসপাতালগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। 

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় সব ধরনের সহায়তা এবং জ্বালানি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। গত কয়েকদিনে ৫৫টি ট্রাক ত্রাণ সহায়তা নিয়ে গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। এইসব ট্রাকে শুধুমাত্র ওষুধ, খাবার ও পানি ছিল। কিন্তু কোনো জ্বালানি নিতে দেওয়া হয়নি।  

ইসরায়েলি মিলিটারি বলছে, হামাস এইসব জ্বালানি ব্যবহার করতে পারে। 

জাতিসংঘ বলছে, প্রয়োজন মেটাতে গাজায় প্রতিদিন ১শ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা দরকার। 

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগামের সামির আব্দুল জাবের বলেন, রাফা ক্রসিং দিয়ে এখন যা প্রবেশ করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সীমিত। প্রতিদিন যে চাহিদা তৈরি হচ্ছে তার তুলনায় এগুলো কিছুই না। আমাদের অপেক্ষা করার মতো আর সময় নেই। জীবনরক্ষাকারী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এই মুহূর্তেই দরকার। 

প্রায় ২৩ লাখ লোকের খাবার, পানি, ওষুধ এবং জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে। যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন ৫ শতাধিক ট্রাক ওষুধ, খাবার, পানি ও অন্যান ত্রাণ সহায়তা গাজায় প্রবেশ করতো। গাজার অর্ধেক মানুষ এইসব ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। 

সূত্র : বিবিসি।  

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ