'সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার' রয়েছে এমন যুক্তিতে ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি এই সমর্থন জানিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে রোববার (২২ অক্টোবর) ফোনালাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির সরকারপ্রধানেরা। আলোচনার পর হোয়াইট হাউজ থেকে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতি দেশগুলো সুস্পষ্ট সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
চলমান যুদ্ধের মাঝেই নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে সোমবার (২৩ অক্টোবর) ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও সমর্থন প্রদানে দেশটিতে সফর করেছেন।
হোয়াইট হাউজ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে তেল আবিবের 'সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার' রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে অবশ্য হামাস কর্তৃক দুই জিম্মির মুক্তির বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। এছাড়া বাকি সব জিম্মিকেও অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্ব পরাশক্তির দেশগুলো গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতির বিষয়টিও বিবৃতিতে তুলে ধরেছে। এতে বেসামরিকদের নিরাপত্তা প্রদানসহ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের খাদ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া কিংবা ক্ষতিকারক সাদা ফসফরাস ব্যবহারের বিষয় নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
বিশ্ব পরাশক্তি এই পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের এমন সম্মিলিত সমর্থন পেয়ে ইসরায়েলের নেতারা বেশ খুশি। তবে এই ঘটনায় যুক্তরাজ্যের ঋষি সুনাকের সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সুত্র: আল জাজিরা
এনএ/