শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজন ‘আত্মত্যাগ’: হামাস কর্মকর্তা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা খালেদ মাশাল বলেছেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পরিণতি সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল। সে সাথে তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার জন্য ফিলিস্তিনিদের 'জীবন উৎসর্গ' করতে হবে।

আল-আরাবিয়ার সাংবাদিক রাশা নাবিলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাশাল হামাসের আক্রমণের প্রশংসা করেন এবং এটিকে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে 'বৈধ প্রতিরোধ' বলে মত দেন তিনি। 

সাংবাদিক নাবিল হামাসের সাবেক এই রাজনৈতিক নেতাকে প্রশ্ন করেন, ইসরায়েলি বেসামরিকদের বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘনকে কীভাবে তিনি প্রতিরোধ বলতে পারেন। আর এই হামলা কি জনগণের সমর্থন ছাড়াই 'যুদ্ধ ঘোষণা' নয়?    

নাবিল আরও উল্লেখ করেন, পশ্চিমা মিডিয়ায় হামাসকে এখন দায়েশের সাথে তুলনা করা হচ্ছে এবং মাশালের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি কীভাবে আক্রমণ চালিয়ে ১,৪০০ ইসরায়েলির মৃত্যুর পর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি দেখাবেন? 

তখন মাশাল বলেন, ৭ অক্টোবর আমাদের অপারেশনের পরিণতি আমরা ভালো করেই জানতাম।

তিনি আরও বলেন, মুক্তির জন্য সবাইকে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল। এরপর তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধের সময় ভিয়েতনামি, সোভিয়েত ও আমেরিকান দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আফগান প্রতিরোধ এবং স্বাধীনতার জন্য আলজেরিয়ার যুদ্ধের উদাহরণ তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ অন্য যে কোনও জাতির মতোই: ত্যাগ ছাড়া কোনও জাতি স্বাধীন হয় না। আমরা প্রতিরোধ করি বা না করি ইসরাইল আমাদের হত্যা করবে।

মাশালকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে বেসামরিকদের সাথে এমন আচরণ হামাসের মতাদর্শের অংশ কিনা। জবাবে তিনি বলেন, হামাস শুধু দখলদার বাহিনী ও সেনাদের প্রতিরোধে কাজ করে। 

তিনি আরো বলেন, সব যুদ্ধেই কিছু বেসামরিক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা তাদের জন্য দায়ী নই।

মাশালকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি বেসামরিকদের মৃত্যুর জন্য ক্ষমা চাইবেন কিনা। তিনি উত্তর দেন: ইসরায়েলিদের ক্ষমা চাইতে বলা উচিত। হামাস উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেসামরিকদের হত্যা করে না।

মিশরীয় নেতাদের হামাসকে সহায়তা করার জন্য আরও বেশি কিছু করার আহ্বান জানান মাশাল। গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য হিজবুল্লাহর নাম উল্লেখ করেই তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। 

মাশাল বলেন, ফিলিস্তিনের বাইরে, যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, যখন মানুষ অবরুদ্ধ থাকে, এটা (প্রতিরোধ) তার প্রাকৃতিক অধিকার হয়ে দাঁড়ায়। আমরা কেন এমনটা করেছি কিংবা কারো সাথে পরামর্শ করেছি কিনা, এ প্রশ্ন করার অধিকার কারো নেই। 

জিম্মি ইসরায়েলিদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে তাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের মুক্ত করতে চান বলেও জানান এই হামাস কর্মকর্তা।

সুত্র: আরব নিউজ

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ