ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। রোববার ভোরেও ইসরায়েলি বোমা হামলার খবর মিলেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা রোববার সকালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের সবশেষ তথ্য সংবলিত প্রতিবেদনে বলেছে, গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস কাতারকে জানিয়েছে, তারা ‘মানবিক কারণে’ দুজন ইসরায়েলি বন্দিকে হস্তান্তর করতে চায়। কিন্তু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রহণের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে।
ইসরায়েল গাজায় স্থলপথে পুরোদস্তুর অভিযানের আগমুহূর্তে আকাশপথে বোমা হামলা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। এটি মূলত হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরবর্তী ধাপ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা এমনটি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, একদিনে তাদের ছয় যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। ফলে এ যাত্রায় হিজবুল্লাহর ১৯ যোদ্ধার প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেল।
ইসরায়েলি বিমান হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। যুক্তরাজ্যেই লক্ষাধিক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। সবার একই দাবি, ইসরায়েল যেন গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করে।
গতকাল শনিবার মিসর হয়ে গাজায় ত্রাণের ট্রাক ঢুকতে শুরু করেছে। এসব ট্রাকে খাদ্য ও ওষুধ রয়েছে। তবে কোনোটিতে জ্বালানি নেই। মানবিক সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, এই ২০ ট্রাক ত্রাণ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বাস্তুচ্যুত মানুষের চাহিদার কোনো অংশই পূরণ করতে পারবে না।
গদ ৭ অক্টোবর শনিবার ভোরে গাজা থেকে হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা করলে ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা শুরু করে এবং এতে অন্তত চার হাজার ৩৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
সুত্র: আল জাজিরা
এনএ/