।।জহিরুল ইসলাম।।
ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) এর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ বলেছেন যে, গাজা শহরের ন্যাশনাল ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে দখলদার বাহিনী গণহত্যা চালিয়ে তাদের অপরাধের পাল্লা ভারী করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টেলিভিশনে দেয়া বক্তৃতায় হাসপাতালে ইসরয়েলি হামলার ব্যাপারে তিনি এ মন্তব্য করেন। হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি দখলদারদের পুরনো অভ্যাস। তারা এর আগে সাবরা, শাতিলা এবং বাহর আল-বাকার ক্যাম্পেও এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল এবং মিশরীয় সেনাদেরও হত্যা করেছিল।
এ ভয়াবহ হামলার জন্য তিনি দখলদার বাহিনী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলিকে দায়ী করে তিনি বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এ হামলায় ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছে। সামরিক শক্তি জুগিয়েছে।
বক্তব্যে হামাসপ্রধান দৃঢ়তার সাথে বলেন জোর বলেন যে, এভাবে হামলা এবং গণহত্যা চালিয়ে হা মা সের সৈন্য এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে দমানো যাবে না। তাঁরা তাদের ভূমিতেই বেঁচে থাকবে। তাঁদের মাতৃভূমিতেই শাহাদাত বরণ করবে। এ সময় ভারি কণ্ঠে ইস রা য়েল ও এর সমর্থকদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এ যুদ্ধ চলতেই থাকবে। এ যুদ্ধ কখনোই থামবে না; যতক্ষণ না আল আকসা ও ফিলিস্তিনের মাটি থেকে দখলদাররা বিতাড়িত হবে।
শহীদানের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বলেন, যে রক্ত ঝরেছে, সেটা পৃথিবীর প্রতিটি মুক্ত মানুষের রক্ত। পরাধীনতা মেনে নিয়ে আয়েশের জীবন লাভ করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যারা স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার পথে চলতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন, এই শাহাদাত তাঁদের জন্য আলোর মিনার হয়ে থাকবে। আর শত্রুদের জন্য বয়ে আনবে ভয়াবহ আগুন।
হানিয়া ফিলিস্তিনের সকল জনগণকে পথে পথে, গ্রামে- শহরে সবখানে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দখলদার ও বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা এক এবং অভিন্ন। আমাদের রক্ত এক। থাকলে একসাথে থাকব। মরলে একসাথে মরব। আমাদের ভাগ্য আমাদেরই নির্ধারণ করতে হবে।
বক্তব্যে ইসমাইল হানিয়া সমস্ত আরব এবং মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের নিন্দা জানাতে রাজধানীগুলোতে এবং শহরে শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ করার আহ্বান জানান।
গাজা উপত্যকার জনগণকে সম্বোধন করে হানিয়া বলেন, ইসরায়েলের এই হত্যাযজ্ঞটি পৃথিবীর সব দেশের মানুষকে তাদেরই বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে। সবাই তুফান আল-আকসা অভিযানের পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজা শহরের ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল চত্বরে দখলদার বাহিনী বোমা হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ৫০০ জন শহীদ হন।
সূত্র: আল জাজিরা
এনএ/