সম্প্রতি ফ্রান্সের স্কুলে আবায়া নিষিদ্ধ করে দেশটির সরকার। এ নিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা হলেও সেখানে তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আবায়া বা ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করায় দেশটিতে বৈষম্য ও ঘৃণা উসকে দিতে পারে। এ জন্য পাবলিক স্কুলে আবায়া নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।
তবে তা প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। আবায়া মূলত মুসলিম নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। দেশটিতে ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাপারে অতি সোচ্চার হওয়ার অংশ হিসেবে গতমাসে আবায়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের সর্বোচ্চ আদালত স্টেট কাউন্সিল জানিয়েছে, আবায়া নিষিদ্ধ করায় পাবলিক অথরিটির বিরুদ্ধে করা আপিল আদালত প্রত্যাখ্যান করেছে। এর আগে দেশটির মুসলিম কমিউনিটি সরকারকে সতর্কবার্তা দেয় যে স্কুলে আবায়া নিষিদ্ধ করায় বৈষম্যের তীব্র ঝুঁকি তৈরি হবে।
এ জন্য আপিল করে আদালতের নির্দেশনা চায় মুসলিম কমিউনিটি। সংগঠনটি জানায়, এমন পদক্ষেপ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উসকে দিতে পারে।
দেশটিতে নিষিদ্ধের পর গত সপ্তাহে আবায়া পরে স্কুলে আসেন অন্তত তিন শতাধিক স্কুলশিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে আবায়া খুলতে অস্বীকার করছেন অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী। ফ্রান্সের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল আরএমসির এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সম্প্রতি ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবায়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে আবায়া পরে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্কুলগুলোতে আর আবায়া পরা যাবে না। তিনি বলেন, আপনি যখন ক্লাসরুমে যাবেন, তখন আপনি শুধু পোশাক দেখেই ছাত্রদের ধর্ম শনাক্ত করতে সক্ষম হবেন না। সে জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ফ্রান্স ২০০৪ সালে স্কুলে স্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ করে। আর ২০১০ সালে প্রকাশ্যে বোরকায় মুখ পুরোপুরি ঢাকাও নিষিদ্ধ করে। এ নিয়ে দেশটির ৫০ লাখ মুসলিম অধিবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
টিএ/