তাৎক্ষণিক বার্তা আদান–প্রদানের জনপ্রিয় মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। এতে বার্তা আদান-প্রদানের পাশাপাশি সহজে কথা বলা ও ভিডিও কল করার সুযোগ থাকায় অনেকেই নিয়মিত ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে তুলতে প্রতিনিয়ত নিজেকে আপডেট করছে। আবার কমবেশি সবাই নান প্রয়োজনে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত থাকেন। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রতারণার ঘটনাও বাড়ছে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এই অ্যাপটি সুরক্ষিত রাখাও বেশ কঠিন।
তবে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে হ্যাকারদের কাছ থেকে ব্যবহারকারীরা তাদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে পারেন। তেমনই কিছু কৌশল সম্পর্কে ভারতীয় গনমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখবেন:
টাচ আইডি, ফেস আইডি বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক
বর্তমানে সব ধরণের ডিভাইসে ফেস আইডি বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক সিস্টেম থাকে। এর ফলে ব্যবহারকারী ছাড়া ডিভাইসটি কেউ ওপেন বা চালু করতে পারবে না। পাশাপাশি এখন বিভিন্ন অ্যাপ চালু করার সময় এই ধরণের লক ব্যবহার করা যায়। তাই হোয়াটসঅ্যাপে এই লক সিস্টেম চালু থাকলে যে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। এতে অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকবে।
টু স্টেপ অথেনটিকেশন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলোকে নিরাপদ রাখতে শুধুমাত্র পাসওয়ার্ডের ওপর নির্ভরশীল থাকা যাবে না। কারণ এটা এখন পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না। বরং হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। এসব অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখার জন্য প্রয়োজন টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা সংক্ষেপে টুএফএ সিস্টেম। হোয়াটসঅ্যাপে টু স্টেপ অথেনটিকেশন অন করা থাকলে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকে। কারণ এতে ছয় সংখ্যার পিন সাবমিট করতে হয়। ফলে যে কেউ চাইলেই পিন ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। এতে অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তায় থাকে।
ম্যাসেজ বা শেষ তথ্য নিয়ন্ত্রণ
হোয়াটসঅ্যাপের ম্যাসেজ বা প্রোফাইল পিকচার দেখানোর প্রয়োজন নেই। এর জন্য সেটিংসে গিয়ে গোপনীয়তা চালু করে দেওয়া ভালো। এতে শেষ ম্যাসেজ বা ছবি এলে তা তৃতীয় ব্যক্তি বা কেউ দেখতে পারবে না। এছাড়া এগুলো শুধু পরিচিতদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়। তাই গোপনীয়তা রক্ষার জন্য সেটিংসগুলোর বিষয় সঠিকভাবে পর্যালোচনা করে ব্যবহার করা উত্তম।
গ্রুপ প্রাইভেসি সেটিংস
হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি সেটিং এবং গ্রুপ ইনভাইট সিস্টেম, কোনো গ্রুপে মেম্বারদের জয়েন হওয়া বা জয়েন করানোর বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে একদিকে যেমন যে কেউ কোনো ব্যক্তিগত গ্রুপে জয়েন করতে পারে না, তেমনি কাউকে না চাইলে গ্রুপে জয়েন করানো যায় না।
এনএ/