শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

বর্তমান সময়ে শিশুরা মোবাইলের প্রতি দিন দিন আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ শিশু ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্মার্টফোন ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করে। 

এতে তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে। তাই অভিভাবকদের উচিত শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানো। 

প্রতিদিন মোবাইল ব্যবহার করতে করতে শিশুরা এক সময় মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি শুরু হয় গেম খেলা। সেই গেমের প্রতিও তাদের আসক্তি তৈরি হয়। 

শিশুদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সঠিক খাবার দিতে হবে। মোবাইল আসক্তি কমাতে শিশুদের বাইরে খেলতে নিয়ে যেতে হবে। তাদের ছবি আঁকা, গান শেখা, নাচ শেখানো যেতে পারে। এতে তাদের সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে।

বেশিরভাগ শিশু ঘুমানোর আগে দীর্ঘ সময় ফোন ব্যবহার করে। এটি তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রাতে ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে শিশুর হাতে ফোন দেওয়া যাবে না। শিশুদের ভালোবাসা ও স্নেহ দিয়ে মোবাইল আসক্তি দূর করতে হবে। 

সময় দিন

বর্তমানে বেশিরভাগ বাবা-মা কর্মজীবী। ব্যস্ততার কারণে তারা সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। এসময় শিশুরা নিজেদের সময় কাটাতে মোবাইলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর এটা দিন দিন আসক্তিতে পরিণত হচ্ছে। শিশুর আসক্তি দূর করতে আপনাকে সময় দিতে হবে। প্রতিদিনের কাজের ফাঁকে অল্প সময়ের জন্য হলেও, একটা নির্দিষ্ট সময় রাখুন তাদের জন্য।

শিশুর মন ভালো রাখাতে তার সঙ্গে গল্প ও খেলাধুলা করতে পারেন। আবার মাঝে মধ্যে বাইরে ঘুরিয়ে নিয়ে আসুন। এছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ,গান,ছবি আঁকা, খেলাধুলো ইত্যাদি কাজে আগ্রহ থাকলে তাতে উৎসাহ দিন। এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে শিশুর মোবাইলের প্রতি আসক্তি অনেক কমে আসবে।

শিশুর সামনে স্মার্টফোন কম ব্যবহার করুন

শিশুর সামনে প্রয়োজন ছাড়া স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না। শিশুরা বড়দের দেখে শেখে। কারণ তারা অনুকরণপ্রিয়। শিশুরা যদি দেখে আপনি সারাক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। তাহলে তারাও তাই করবে। খুব প্রয়োজন হলে আলাদা রুমে গিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করুন।

সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন

আপনার শিশুকে সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিতে পারেন। যেমন- গাছ লাগানো, পাখিকে খাবার খাওয়ানো, কবুতর/পাখি পোষা, কাগজ দিয়ে নানা ধরণের জিনিসপত্র বানানো। এসব কাজে শিশুরা মজা পেলে মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে দূরে থাকবে।

ঘরের কাজে অভ্যস্ত করুন

শিশুদের ঘরের কাজে ব্যস্ত রাখতে পারেন। বিশেষ করে মায়েরা এ কাজটি করতে পারেন। আপনার সন্তানকে বলতে পারেন, আজকে তুমি আমাকে কাজে সহযোগিতা করো। এতে আপনার সন্তান ঘরের কাজের প্রতি আগ্রহী হবে এবং মোবাইল আসক্তি থেকে সরে আসবে।

লাইব্রেরি তৈরি করুন

শিশুদের ঘরে অবশ্যই মিনি লাইব্রেরি তৈরি করা উচিত। অবসর সময়ে অভিভাবকের বই পড়ার অভ্যাস থাকলে সন্তানও তা রপ্ত করবে। অথবা খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস করুন, আপনাকে দেখেই তার মধ্যে এই অভ্যাসগুলো গড়ে উঠবে।

নির্দিষ্ট কাজে মোবাইল ব্যবহার

এখন মাঝে মধ্যেই শিশুকে অনলাইনে ক্লাস করতে হয়। সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। স্মার্টফোন থেকে আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শিশুরা যেন, মোবাইল থেকে শিক্ষামূলক ও তথ্যমূলক জিনিসই দেখে।

এছাড়া আপনার সন্তানকে প্রযুক্তির ভালো-মন্দ দিকগুলো সম্পর্কে জানান। এর অতিরিক্ত ব্যবহার কী কী বিপদের কারণ হতে পারে তা নিয়ে সতর্ক করুন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ