কেউ থাকুক আর না থাকুক প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী হিসেবে আছে স্মার্টফোন। হাত থেকে ফোন মাটিতে পড়ে স্ক্রিন না ভাঙা পর্যন্ত আফসোস হয় না! কিন্তু এভাবে অবহেলা করতে করতে সময়ের আগেই অকেজো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে স্মার্টফোনের। আর ফোন ধীর গতির হলে প্রধান করণীয় হলো মেমোরি ফাঁকা করা। দরকার পড়ে না, কিংবা কম ব্যবহার করা হয় এমন সব অ্যাপ আনইনস্টল করে ফেলুন। মুঠোফোনে রাখা শত শত ছবি কম্পিউটারে নামিয়ে রাখুন। পাশাপাশি খেয়াল রাখুন কয়েকটি বিষয়। আর সেসব তথ্য জেনে নিন-
দীর্ঘ সময় চার্জ নয় : ফোন চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার অভ্যাসে বড় ক্ষতি হয় ফোনের। সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ ফোন চার্জে রেখে দিলে ব্যাটারি ফুলে যায় এবং খুব দ্রুত নষ্ট হয়। তাই ২০ শতাংশের নিচে আসলে চার্জ দিতে হবে এবং ৯৯ শতাংশ হলে চার্জ থেকে খুলে ফেলতে হবে। সঙ্গে কাজের মধ্যে হারিয়ে না গিয়ে মনে রাখতে হবে যে ফোন চার্জে দেওয়া হয়েছে।
ফোনে কভার ব্যবহার করা : কভার ব্যবহার না করলে ফোনের নানা ক্ষতি হয়। যেমন- ফোনে পানি ঢুকে যায়, ফোনের বিভিন্ন পোর্টে ধুলাবালি ঢুকে, পড়ে গেলে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই শুধু দেখাতে ভালো লাগার জন্য নয়, ফোনের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে কভার ব্যবহার করতে হবে।
স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার : স্ক্রিন প্রটেক্টর হলো ফোনের স্ক্রিনের ওপর আরেকটি স্ক্রিন বসিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কারণ ফোনের মূল স্ক্রিন অনেক নাজুক হয়। পড়ে গেলে কিংবা চাপ লাগলেই ভেঙে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়, প্রটেক্টরের প্রয়োজনীয়তা নেই কিন্তু আসলে এটি ছাড়া ফোন যখন-তখন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
নিয়মিত পরিষ্কার : ফোন আবার কীভাবে পরিষ্কার করে এই প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। কিন্তু বাহ্যিক দিক দিয়ে হোক কিংবা ভিতরে হোক, ময়লা জমে। কভার ব্যবহার করলেও ফোনের ভিতরে সূক্ষ্ম ধূলিকণা ঢুকে জমে থাকে। এভাবে ময়লা জমে ফোন নষ্ট হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে ফোন পরিষ্কার করতে হবে। শুকনা ব্রাশ কিংবা কটনবার্ড দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন স্মার্টফোন। ভুলেও পানি দিয়ে তথা ভেজা কাপড় দিয়ে ফোন পরিষ্কার করবেন না।
রোদে ফোন না রাখা : ফোনকে শুধু পানি নয়, রোদ থেকেও সুরক্ষা দিতে হয়। যে কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস অতিরিক্ত তাপমাত্রায় গরম হয়ে যায় এবং বিস্ফোরণ হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই রোদের মধ্যে ফোন রাখা এবং ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজের ফোনটি যেখানে সেখানে ছুড়ে না মেরে, যেভাবে-সেভাবে রেখে না দিয়ে আলতো হাতে ব্যবহার করুন। সঙ্গে ওপরের কাজগুলো মেনে চলুন। তাহলেই একটি স্মার্টফোন কিনে ব্যবহার করতে পারবেন দীর্ঘদিন।
কেএল/