জুলকারনাইন সাহাল
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘আওয়ার ইসলাম’ একটি সুস্থধারার সংবাদমাধ্যম। আমি তাদের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও নিয়মিত পাঠক। এই পোর্টালটি তথাকথিত ও পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রকাশ করে না বলে বিশ্বাস করি। আমার মতো এমন বিশ্বাসী হাজার হাজার পাঠক আছে। ফলে ‘আওয়ার ইসলামে’র তথ্যবহুল, বিশ্লেষণধর্মী বিভিন্ন সংবাদ ও প্রবন্ধ-নিবন্ধের মাধ্যমে উপকৃত হয় অসংখ্য মানুষ।
তবে দু’দিন আগে এই সংবাদমাধ্যমটির একটা নিউজ দেখে কিছুটা ব্যথিত হয়েছি। সেখানে ‘দেশ সেরা ২০টি ফতোয়া বিভাগ’ শিরোনামে দেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ফতোয়া বিভাগ তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেশের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান স্থান পায়নি। সেই সঙ্গে মানগত দৃষ্টিকোণ থেকে ক্রমিক নম্বরেরও বেশ তারতম্য রয়েছে। অবশ্য কোনো মানদণ্ড অনুসারে তালিকাটি করা হয়েছে বলে মনে হয় না।
যেহেতু ২০টার তালিকা করা হয়েছে, তাই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানকে উপরে বা নিচে রাখতে হয়েছে। এটাও স্বাভাবিকভাবে দৃষ্টিকটু। কেননা কোনো মানদণ্ড ব্যতীত এভাবে ক্রমিক দেওয়ার জন্য পাঠকরা প্রিয় প্রতিষ্ঠানকে যথাস্থানে না পেয়ে মনক্ষুণ্ন হয়েছেন ।
সব মিলিয়ে সেই নিউজের মাধ্যমে আমিসহ অন্যান্য পাঠকরা অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছে। যেটা তাদের মন্তব্য থেকে অনুধাবন করা যায়।
এতকিছুর পরও ইতিবাচক দিকটা দেখলে এই নিউজের মাধ্যমে অবশ্য দু’শ্রেণীর পাঠক উপকৃত হয়েছে বলে মনে হয়।
এক: সাধারণ মানুষ, যারা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য ফতোয়া বিভাগের সন্ধান করে।
দুই: আগামীতে যারা ইফতা পড়বে, তারা একসঙ্গে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেল।
কিন্তু, আওয়ার ইসলামের পাঠকের পরিধি নিশ্চই আরো ব্যাপক। তাই সকলকে বিবেচনায় রেখে গবেষণাধর্মী নিউজ করলে পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া পড়ত। এবং তা থেকে আরো বেশি উপকৃত হতে পারতো।
পরিশেষে আওয়ার ইসলাম থেকে আশা করবো, আগামীতে তারা সঠিক মানদণ্ড নির্ণয় করে এজাতীয় নিউজ করবে, যাতে পাঠক মহল তা থেকে উপকৃত হতে পারে।
হাআমা/