বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৫ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইবতেহাল আবু সাঈদ এর চিৎকার: গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধযন্ত্রে মাইক্রোসফট কিভাবে সহায়তা করছে? ভর্তি শুরু জামিয়া রাহমানিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায়  ঢাকায় আগত নতুন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ইরান-আমেরিকা সম্পর্ক: ট্রাম্পের সরাসরি আলোচনা প্রস্তাব, যুদ্ধ না শান্তিপূর্ণ সমাধান? ভর্তি শুরু জামিয়া রাহমানিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসায়  দেশব্যাপী সরকারি ফার্মেসি চালু, অল্পদামে মিলবে ২৫০ রকম ঔষধ বাংলাদেশে আরও এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এনডিবি হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা ও টিকাদান কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ বারিধারা মাদরাসায় হেফাজতের মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সভা

ভারতে ওয়াকফ বিল মুসলিমদের ধর্মীয় সম্পদ দখলের নীলনকশা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সম্প্রতি ভারতীয় পার্লামেন্টে পাশ হওয়া ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫’-এর মাধ্যমে মুসলিম ধর্মীয় ও দাতব্য সম্পদের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার এক গভীর, সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই বিল ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের মুখে চরম আঘাত। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এই অগণতান্ত্রিক, বৈষম্যমূলক ও মুসলিমবিদ্বেষী আইনের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণাভরে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

আজ শনিবার ৬ এপ্রিল ২০২৫ রোজ রবিবার ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় বলেন,“বর্তমানে ভারতের ওয়াকফ বোর্ডের অধীনস্থ জমির পরিমাণ আনুমানিক ৯.৪ লাখ একর। এই বিশাল জমির উপর প্রতিষ্ঠিত আছে প্রায় ৮৭,২৩৫১টি ধর্মীয় ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। এই সম্পত্তির বাজারমূল্য লক্ষ লক্ষ কোটি রুপি, যা উপমহাদেশে মুসলিম সমাজের হাজার বছরের ধর্মীয়, সামাজিক ও মানবিক অবদানের প্রতীক। এই বিলের মাধ্যমে সেই সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় হিন্দুত্ববাদী দখল প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা স্পষ্ট।”

ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য অন্তর্ভুক্তি, সম্পত্তি যাচাইয়ে সরকারি অনুমতি বাধ্যতামূলক করা এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর ধারা-সবকিছুই মুসলিম সমাজের ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য, অধিকার ও ইতিহাসকে পদদলিত করার ঘৃণ্য পরিকল্পনার অংশ। এটি কোনো আইনি সংস্কার নয়; বরং মুসলমানদের ধর্মীয় পরিকাঠামোকে ধ্বংস করে দেওয়ার হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদের নগ্ন রূপ।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন“বাবরি মসজিদের রায়, কবরস্থান দখল, আজান ও হিজাব নিষিদ্ধকরণ, মুসলিম ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, সংখ্যালঘু নিধন-এই সবকিছুই আজকের ভারতের ইসলামবিদ্বেষী নীতির বহিঃপ্রকাশ। ওয়াকফ বিল সেই ধারাবাহিকতাতেই একটি বিপজ্জনক সংযোজন।”

বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন,“ভারতের এই ‘নব্য উপনিবেশবাদী’ আইন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে হবে। ওআইসি, জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে এক্ষুণি হস্তক্ষেপ করতে হবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকেও এই বৈষম্যমূলক, মুসলিমবিরোধী আইন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হতে হবে।”

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এই আইনের মাধ্যমে ভারতের সরকারকে মুসলিম নিধনের রাজনৈতিক অপচেষ্টাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে। একইসঙ্গে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়-মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অধিকার, দানকৃত সম্পদ ও অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এই কলঙ্কিত বিল দ্রুত বাতিল করতে হবে। অন্যথায় এই বিল বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও গণআন্দোলনের সূত্রপাত ঘটাবে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ