ভারতের মহারাষ্ট্রে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন ভারত উপমহাদেশের অন্যতম আল্লাহওয়ালা বাদশা আওরঙ্গজেব আলমগীর রহ.। তিনি ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। ফতোয়ায়ে আলমগিরি নামক বিশাল ফতোয়ার ভান্ডার সেইসময়ের আলোচিত আলেম মাওলানা নিজাম উদ্দিন এর তত্ত্বাবধানে রচনা করে হানাফী মাযহাবের বিশাল খেদমত করেছেন।
আজ মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম,তার সমাধি ভেঙ্গে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লেলিয়ে দেওয়া উগ্র সন্ত্রাসীরা। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, যদি তার সমাধিতে ফুলের টুকরো দেওয়া হয় ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সহ প্রতিটি জায়গায় প্রতিবাদের আগুন জলে উঠবে। যদি মোদি সরকার সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা ও তাদের স্মৃতিময় স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের ব্যর্থ হয়, তাহলে ভারত ভেঙ্গে খানখান হয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ বাড়িয়া জেলার ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও জমিয়ত জেলা সভাপতি এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব খতিবে বাঙ্গাল মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরস্থ খান পার্টি সেন্টারে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন, জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও শাইখুল হাদিস মুফতি মোবারক উল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম
মুফতি জাবের কাসেমী,ইসলামী ঐক্যজোট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী, মুফতি রেদওয়ানুল বারী সিরাজী, মুফতি বশির আহমদ,মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম লাল বাদশা,মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী
খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি হাফেজ এমদাদুল্লাহ সিরাজী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নির্বাহী সভাপতি মুফতি মইনুল হক,গণ অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসানুর রহমান ওবাইদুল্লাহ,যুব জমিয়ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইমতিয়াজ আহমদ প্রমুখ।
মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। রমজানের মূল উদ্দেশ্যেই তাকওয়া অর্জন করা। তাকওয়ার অভাবে আজ সমাজে নানা অপকর্ম হচ্ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধা ধর্ষিতা হচ্ছে। মাগুরার শিশু আছিয়ার ঘটনায় পুরো দেশ আজ লজ্জিত। ধর্ষকদের ইসলামি শরিয়া আইনে প্রকাশ্যে জনসম্মুক্ষে বিচার করলে এই রকমের অপরাধ ও অপকর্ম করার কেউ সাহস পাবে না।
বক্তার আরো বলেন, আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস। অল্প সংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহর রাসূলের নেতৃত্বে বদর প্রান্তে বাতিলের বিরুদ্ধে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। হক বাতিলের প্রথম লড়াই ছিল বদর যুদ্ধ। আল্লাহপাক বিজয় দান করেছিলেন। আমাদেরকেও বদরী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে হবে।
নারনা/