সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা–কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন।
গতকাল রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম তার ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রথম কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল সকাল ৭ টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সকাল ১০ টায় রায়েরবাজার কবরস্থানে ২০২৪ এর অভ্যুত্থানের শহীদদের জন্য দোয়া মোনাজাত। সকল কেন্দ্রীয় সদস্যদের উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলো। একই সাথে মহানগর ও সাভারের নেতৃবৃন্দেরও উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো।
আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দুটি ডাবল ডেকার বাসে করে স্মৃতিসৌধে আসেন দলের নেতা-কর্মীরা। এরপর স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা স্মৃতিসৌধের বেদিতে যান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আখতার হোসেন দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করে বলেন, ‘১৯৭১ সালে লাখ লাখ শহীদের জীবনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এসেছে, যার মূলমন্ত্র ছিল সাম্য ও সামাজিক সুবিচারের বাংলাদেশ। গত ৫৪ বছরে তা অধরা থেকে গেছে। আমরা এনসিপির নেতা-কর্মীরা অঙ্গীকারবদ্ধ, সেই বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাব।’
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে আমাদের অনেকগুলো প্রস্তাবনার জায়গা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম, বাংলাদেশ পুরো বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। ঢাকা শহরকে গ্লোবাল সাউথের প্রধান হিসেবে দেখা। এমন অনেকগুলো স্বপ্ন নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা বিশ্বাস করি, নতুন একটি সংবিধানের বাস্তবতা রয়েছে। এর ভিত্তিতে আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি। একই সঙ্গে সে গণপরিষদ নির্বাচনে যাঁরা জয়ী হবেন, তাঁরা সংসদ সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন—এমন প্রস্তাবনাও আমাদের আছে। অল্প সময়ের মধ্যে সারা দেশে জেলা ও উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি কার্যক্রম বিস্তৃত করবে।’
এমএইচ/