ইসলামবিরোধী একটি গোষ্ঠী নানাভাবে দেশে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইসলামের শান্তির বিধান সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য যুব জমিয়ত কর্মীদের অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টায় খিলক্ষেত থানা যুব জমিয়ত আয়োজিত কাউন্সিল অধিবেশনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেছেন, যুব জমিয়ত জাগ্রত থাকলে দেশের যুবসমাজ ভুল পথে পা বাড়াবে না। চাঁদাবাজি, গুম, খুন, চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং আর ধর্ষণের মতো নোংরা কাজের সাথে যুব সমাজ জড়িত হবে না। এজন্য যুব জমিয়তকে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে। বিশেষভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেব্যাপারে যুব জমিয়ত যুব সমাজকে সাথে নিয়ে শক্ত হাতে দেশ বিরোধীদের মোকাবেলা করবে।
কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম খিলক্ষেত থানার সভাপতি মাওলানা নূরুল ইসলাম কাসেমী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব জমিয়ত বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসহাক কামাল, সহকারী দফতর সম্পাদক মাওলানা মুকতাদির আহমদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আলী, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নূর হোসাইন।
খিলক্ষেত থানা যুব জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা যুবায়ের সাদীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন খিলক্ষেত থানা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সালাহউদ্দীন আইউবী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শাহ ওয়াজিদুর রহমান প্রমুখ।
কাউন্সিল অধিবেশনে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে মাওলানা সাইদুল ইসলাম সিদ্দিকীকে সভাপতি, মাওলানা যুবায়ের সাদীকে সাধারণ সম্পাদক ও মাওলানা জাকারিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
হাআমা/