সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ।। ৩ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৭ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
চটকি বাড়ি হুজুর মাওলানা শফিকুল্লাহ-এর ইন্তেকালে খেলাফত ছাত্র মজলিস এর শোক বেদনা উত্তরায় মাদানী নেসাবের অনন্য প্রতিষ্ঠান মাদরাসাতুল আসহাব উত্তরায় মেয়েদের জন্য মাদানী নেসাবের একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান হযরত ফাতেমাতুয যাহরা (রা.) চটকিবাড়ি হুজুরের ইন্তেকাল,দেশজুড়ে শোকের ছায়া মুসলিমদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে ভারত: হেফাজতে ইসলাম হজ-ওমরাহকেন্দ্রিক জটিলতা নিরসনের দাবি হাব উলামা সোসাইটির ফরহাদ মজহারের বক্তব্য দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত করেছে: বিএনপি নেতা এ্যানি ভারতে রমজানেও সংখ্যালঘু মুসলিম নির্যাতন, ১৫১ আলেমের উদ্বেগ ও ক্ষোভ পাকিস্তান বেফাক বোর্ডে বাংলাদেশি দুই শিক্ষার্থীর সাফল্য রোজাদারদের মাঝে মাদানী মজলিস বাংলাদেশের ইফতার বিতরণ

হেফাজত কারো ‌‌‌‘প্রক্সি' হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি : নায়েবে আমির

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের এক ফেসবুক পোস্টে ২০১৩ সালে হেফাজতকে একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের "প্রক্সি" হিসেবে ব্যবহার করার দাবি করা হয়েছে। এমন দাবিকে মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে আজ সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নায়েবে আমির মাওলানা মহিঊদ্দিন রব্বানী। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য কাম্য নয়। হেফাজত কখনো কারো "প্রক্সি" হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি। হাজী শরীয়তুল্লাহ ও শহিদ তিতুমীর এই পূর্ব বাংলায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও ব্রাহ্মণ্যবাদী জমিদারগিরির বিরুদ্ধে প্রান্তিক গণমানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা, রাজনৈতিক অধিকার ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার লড়াইয়ের যে পথ দেখিয়েছিলেন, সেটারই উত্তরসূরী শাপলার চেতনা। বিপরীতে ন্যায়বিচার ধ্বংস করে ফাঁসির দাবিতে জালিম ব্রাহ্মণ্যবাদী জমিদার শ্রেণীর প্রেতাত্মা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিল শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ। 

তিনি আরো বলেন, তেরো সালে আধিপত্যবাদী দিল্লির পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্রীয় মদদে ইসলাম নির্মূলের বাসনায় মেতে উঠেছিল শাহবাগী ফ্যাসিবাদ। তারই প্রতিবাদে শাপলা চত্বরে হেফাজত গিয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে জড়িত একদল নাস্তিক-মুরতাদের বিচারের ন্যায্য দাবি নিয়ে, যারা রাসূলের (সা.) শানে কটূক্তি ও বেয়াদবি করেছিল। তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার হেফাজতের দাবি-দাওয়ার কোনো তোয়াক্কা না করে উল্টো গণহত্যা চালায়। সেই গণহত্যার সমর্থন যুগিয়েছিল শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ। বিচারিক হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার উসকানিদাতা শাহবাগীরা ইতিহাসে অপরাধী হিসেবে স্বীকৃত। আজকে যারা ইতিহাস বিকৃত করবে এবং শাহবাগীদের তোষণ করবে, তারা কায়েমি স্বার্থান্বেষী হিসেবে চিহ্নিত হবে। 

মাওলানা রব্বানী আরো বলেন, শাহবাগীরা সবসময় ছিল বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী; পক্ষান্তরে শাপলার চেতনা বাংলাদেশপন্থী। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শাপলা চত্বরের অনুপ্রেরণায় প্রায় ৭৭ জনেরও বেশি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী শহিদ হন। কিন্তু শাহবাগী নাস্তিক-মুরতাদরা সবসময় আধিপত্যবাদী দিল্লির এজেন্ট এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদ কায়েমের বরকন্দাজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখনো তারা দেশের আলেম-ওলামা, তৌহিদি জনতা ও ইসলামের বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। শাহবাগীরা এখন প্রতিবিপ্লবের কোনো ষড়যন্ত্র করলে তা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। 

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ