বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইমাম-খতিবরাই সবচেয়ে অধিক বৈষম্যের শিকার: জাতীয় ইমাম ও খতীব সংস্থা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইমাম ও খতিব এ দুটি শব্দ অত্যন্ত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার। ইসলাম যেমনিভাবে একজন ইমাম ও খতীবকে মর্যাদা দিয়েছে তেমনিভাবে আমাদের সমাজের সাধারণ মুসলমানগণও ইমাম ও খতীবদেরকে অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখে থাকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের প্রচলিত রাষ্ট্র কাঠামোয় মানুষের ব্যক্তি জীবনের যে কোনো বিষয়ে ইমাম-খতীবদের মতামতকে যেমন গ্রহণ করা হয় তেমনিভাবে  সামাজিক অন্যান্য ক্ষেত্রে ইমাম-খতীবদের মতামতকে মূল্যায়ন করা হয় না।

এমনকি অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ইমাম-খতিবরাই বরং সমাজে সবচেয়ে অধিক বৈষম্যের শিকার।

সুতরাং বৈষম্যহীন, ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন সামাজিক যে কোনো বিষয়ে ইমাম ও খতীবদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

পাশাপাশি ইমাম ও খতীবদের করণীয় হলো, ইনসাফ কায়েম করার ক্ষেত্রে কোরআন ও সুন্নাহর যে সমস্ত বিধি বিধানগুলো রয়েছে তা যথাযথভাবে সাধারণ জনগনের সামনে তুলে ধরা। 

আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় ইমাম ও খতীব সংস্থা বাংলাদেশ এর উদ্যোগে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভি-আইপি লাউঞ্জে আয়োজিত ‘ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনে ইমাম ও খতীবদের করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।

জাতীয় ইমাম ও খতীব সংস্থা বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা মু. আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের।

তিনি বলেন, জাতির এ ক্রান্তিলগ্ন ও দুর্দিনে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে জাতীয় ইমাম ও খতীব সংস্থা বাংলাদেশের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি মুফতি আবু তাহের আল মাদানির সভাপতিত্বে উক্ত সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশের সভাপতি, হাফেজ মাওলানা তৈয়ব, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী প্রমূখ।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ইমাম-খতীবগণ বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অর্জিত বাংলাদেশে ইনসাফ, ন্যায় বিচার ও মানুষের অধিকার সুষম বণ্টনে ইমাম-খতিবদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে, কিন্তু এ দায়িত্ব পালনে ইমাম-খতিবগণ ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালীদের আধিপত্যের কারণে বার বার ব্যর্থ হয়, তাই আমরা চাই ইমামগণ যেনো স্বাধীনভাবে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নির্দিধায় ধর্মের মৌলিক কথাগুলো মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পারেন এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ হতে যেনো একটি পরিপত্র জারি করা হয়।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ