বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বায়তুল মোকাররমে প্রথম জুমায় খতিব মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক প্রদত্ত বয়ান (সারাংশ)

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মুহাম্মাদ লুতফেরাব্বী আজহারি ||

আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম জুমা পড়ান সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত খতিব দেশের বরেণ্য আলেম মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক (হাফিজাহুল্লাহু)।

বয়ানের শুরুতে তিনি দীর্ঘ সময় নিয়ে খুতবা পাঠ করেন। খুতবার মধ্যে লক্ষণীয় হচ্ছে, বারবার খাতামুন নাবিয়্যিনের উল্লেখ এবং হাদিসের ভাষ্য অনুসারে মাকামে মাহমুদের জন্য দোয়া।

পড়ুন: কাল বায়তুল মোকাররমে জুমা পড়াবেন খতিব মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

এরপর তিনি মসজিদের আদব রক্ষা এবং ইবাদতের ভাবগাম্ভীর্য প্রতিষ্ঠার লক্ষে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণ থেকে নিষেধ করেন। এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন: "সাধারণভাবে অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের মতে ডিজিটাল ক্যামেরার ভিডিও হারাম। তবে দ্বীনী প্রয়োজনে যারা জায়েয বলেছেন তারাও শর্তসাপেক্ষে অনুমতি নিয়ে তোলার কথা বলেন।

এই প্রসঙ্গে খতিব তাঁর উস্তাদ মুফতি তাকি উসমানী হাফি: এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তিনিও মক্কা মদিনায় ছবি তোলাকে অপছন্দ করেন। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মসজিদের বাইরে রেকর্ডের ব্যবস্থাকে তিনি সমর্থন দেন।

পড়ুুন: বরেণ্য আলেম মুফতি মুহাম্মাদ আবদুল মালেককে বায়তুল মোকাররমের খতিব নিয়োগ

এরপর আলোচনায় বলেন, দ্বীনি মজলিস মানেই সেখানে নতুন কথা বলা হবে এটা জরুরি না; বরং দ্বীনি মজলিসের কয়েকটি ফায়েদা রয়েছে:

১- কোন নতুন কথা জানতে পারা।

২- অসম্পূর্ণ কোন তথ্য পরিপূর্ণ জানতে পারা।

৩- ভুল বা বিকৃত কোন তথ্য জানা থাকলে তা শুধরে নেয়া।

এজন্য দ্বীনি মজলিসে আলোচনার শর্ত হচ্ছে সহিহ ও বিশুদ্ধ বিষয় আলোচনা করা।

এরপর তিনি জুমার দিনের ফজিলত এবং বিভিন্ন আমলের বিষয়ে আলোকপাত করেন। বিশেষভাবে বৃহস্পতিবার মাগরিব থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত দরুদের আমলের প্রতি তারগিব দেন। আত তারগিব কিতাবের উদ্ধৃতিতে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: এর শেখানো একটি দরুদ উল্লেখ করেন اللهم صل على محمد النبي الأمي। এছাড়াও যেকোনো দরুদ পড়তে উৎসাহিত করেন।

পড়ুনবায়তুল মোকাররমের নতুন খতিবকে আলেমদের অভিনন্দন

জুমার আমল আলোচনা করতে গিয়ে আরেকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তা হচ্ছে, জুমার পূর্বে স্থানীয় ভাষায় বয়ান ও আরবি খুতবা। তিনি বলেন: স্থানীয় ভাষায় বয়ান এটা জুমার নামাজের কোন অংশ নয়। নামাজের আগে বা পরে যেকোনো সময় এই আলোচনা হতে পারে। না হলেও ক্ষতি নেই। তবে আরবিতে দুই খুতবা এটি জুমার অংশ। এটি আরবিতেই দিতে হবে।

(মসজিদের মাইকে সমস্যা হলে) তিনি বলেন: আমাদের সর্ব অবস্থায় সবর করতে হবে। সাহাবিদের বর্ণনা থেকে পাওয়া যায় যে, দ্বীনি মজলিসের কথার আওয়াজ শোনা যাক বা না যাক উভয় অবস্থায় সওয়াব পরিপূর্ণ হবে। তাই মসজিদে শোরগোল না করে সবর করতে হবে।

আরও পড়ুন : উল্লেখযোগ্য ফতোয়া বিভাগগুলোর ওয়েবসাইট নাই কেন

এরপর তিনি মসজিদের আদবসমূহ আলোচনা করেন। মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার সুন্নত সমূহ ও আযকারগুলো উল্লেখ করেন এবং এসব সুন্নতের প্রতি যত্নবান থাকার জন্য আহবান করেন।

আরবী খুতবায় ইসলামের সার্বজনীনতা ও শরিয়াতের পূর্ণাঙ্গতা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাসিহা পেশ করেন।

আরও পড়ুনবায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সাউন্ড সিস্টেম উন্নত করার আহ্বান মুসল্লিদের

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ