লিফটের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কখনো কখনো কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। এই কয়েক মিনিটেই ৫-৭ জন জড়ো হয়ে যায়। কিন্তু সবাই লিফটের দরজাটাকে সামনে নিয়ে বেষ্টন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। লিফটের দরজা যখন খুলে ভিতরে থাকা যেসব মানুষ বের হবেন, তাদের বের হওয়ার রাস্তা থাকে না, ঠেলেঠুলে বের হতে হয়। অনেক সময় এক-দুজন সাইড দিয়ে দেয়, ভেতরের মানুষেরা সেই সাইডটুকু দিয়ে বের হয়ে আসে। সম্প্রতি মেট্রোরেলের দরজার সামনেও এই ঘটনাই ঘটে। পুরো দরজাটা জুড়ে লোকজন দাঁড়িয়ে থাকে, দরজা জুড়েই যেন তাদের ঢুকতে হবে। ভেতর থেকে যারা বের হবেন তাদের একটু কসরত করতে হয়, ফাঁক খুঁজে নিয়ে বের হতে হয়।
লিফটের ভেতর থেকে কিংবা মেট্রোরেলের ভেতর থেকে বের হওয়া মানুষটি যদি নারী হন তাহলে সমস্যাটা আরেকটু বেশি হয়।
কেন রে ভাই, একপাশে একটু ফাঁক রেখে দাঁড়ানো যায় না! এতে যদি সামনে থাকা দু-চার জনের পেছনে আরো দু চারজনের দাঁড়াতে হয় অসুবিধাটা কি? লিফট কিংবা মেট্রোরেলের দরজা খুলুক, আপনারা এক দিক দিয়ে ঢুকেন, ভেতরের মানুষেরা আরেক দিক দিয়ে বের হয়ে আসুক। চোখের অনুমানে অর্ধেক-অর্ধেক করেও তো রাখতে পারেন, না হলে ৬০ ভাগ ৪০ ভাগ। এতে আসা-যাওয়া, ওঠা-নামা সবকিছুই সুন্দর হয় এবং মানসিকভাবেও স্বস্তিকর বোধ হয়।
আমাদের অহেতুক তাড়াহুড়া প্রবণতা এবং অসৌজন্যের সঙ্গে হলেও এক-কদম এগিয়ে থাকার এই মানসিকতাটা কবে বন্ধ হবে! এভাবে শেষ পর্যন্ত কতটা এগিয়ে থাকা যায়? একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবলে ভালো হতো। [অবশ্য অনেক জায়গায় লিফট কিংবা দরজার সামনে নামার জন্য স্পেস রেখে দাঁড়ানোর এই ভদ্রতার সাক্ষাৎ পাবেন। এই ভদ্রতা এবং এই 'দরকারতা' একটি সমাজের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। কল্যাণকর তো অবশ্যই।]
হাআমা/