মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ চৈত্র ১৪৩১ ।। ৩ শাওয়াল ১৪৪৬


৩ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ এবং জুন মাসে জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় খাস কমিটির এক জরুরি সভা আজ বিকেল ৩টায় রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থসম্পাদক মাওলানা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী এবং প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী প্রমুখ।

সভায় পরামর্শক্রমে, ৫ মে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, ২০২১ সালে মোদীবিরোধী আন্দোলন এবং চব্বিশের ছাত্রজনতার ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যার বিচারসহ হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ৩ মে ২০২৫, শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া, আগামী জুন মাসে সকল জেলা ও মহানগর প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় গৃহীত আরেকটি প্রস্তাবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত ছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দলটি সন্ত্রাস, গুম, খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। ২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইন এবং ১৯৭৮ সালের ‘দ্য পলিটিক্যাল পার্টিস অর্ডিন্যান্স’ অনুযায়ী প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব বলে তারা উল্লেখ করেন।

হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ বলেন, এই দাবি আদায়ে দেশের স্বার্থে সকল মত-পথ ও ঘরানার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তারা আরও বলেন, ইসলাম ও ইসলামপ্রিয় জনগণকে কোণঠাসা করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে গ্রাস করছে। ভারত থেকে ফেনসিডিল, মাদকসহ অশ্লীলতার স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অফিস-আদালতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয় উপস্থিতির অভিযোগও উঠেছে।

হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যের কষাঘাতে দিন কাটাচ্ছে। ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব। গরীব, অসহায়, পথশিশু ও দিনমজুরদের সহযোগিতায় দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ৫ মে শাপলা চত্বরে শহীদ ও আহত পরিবারগুলোর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে দান-সদকার গুরুত্ব তুলে ধরে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, রাসূল (সা.)-এর মহানুভবতা, মানবতা ও আতিথেয়তার নীতি অনুসরণ করে ঈদকে সামনে রেখে গরীব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ