শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ ।। ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১৪ রমজান ১৪৪৬


আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষকের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
শিশু আছিয়া খাতুনের মরদেহ দাফনের পর বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত পৌনে ৮টার দিকে অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি : সংগৃহীত

ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় নিহত শিশু আছিয়া খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এশার নামাজের পর জানাজা শেষে আছিয়ার আদি নিবাস শ্রীপুরের সোনাইকুন্ডীতে তাকে দাফন করা হয়। 

এর আগে ইফতারের আগ মুহূর্তে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে তার মরদেহ মাগুরায় নেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে শিশুটির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়।

শিশু আছিয়ার মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই মাগুরায় শুরু হয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ। ছাত্র-জনতা শহরে একাধিক বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহরের ভায়না এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে।

মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই তার বাড়িতে ছুটে যান সর্বস্তরের জনগণ। ইফতারের পরপরই তার মরদেহ নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার জেলা স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছায়।

সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে আসা হয় নোমানী ময়দানে। সেখানে সন্ধ্যা সাতটায় জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ছাত্র-জনতা অংশ নেয়।

জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি জেলার শ্রীপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডী গ্রামে। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষ দাফন সম্পন্ন করা হয়। এরপর জনতা অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। 

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরদিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এরপর গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ