বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ ।। ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
জিকির ও আত্মশুদ্ধি উভয়টাই করতে হবে : মাওলানা আবু সাবের আব্দুল্লাহ লাখো রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই ‘শাহবাগ কেড়ে নিয়েছিল এদেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার’ বাংলাদেশী রেমিটেন্সযোদ্ধাদের সম্মানে কাতার সরকারের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে তারাবি নিয়ে ১০ হাফেজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ; পাসের হার ৯৯.৪৯% জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে বিলোপ করা সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে উপদেষ্টা মাহফুজের ‘মব’ নিয়ে পোস্ট, যা বলল ঢাবি ছাত্রশিবির

আলেমদের পরাতো ডান্ডাবেড়ি, আর লীগনেতাদের যেন শশুর বাড়িতে আনা হচ্ছে: হাসনাত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মিথ্যা মামলায় আলেমদের কোর্টে তোলা হত ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে, আর লীগ নেতাদের যেন শশুর বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে মিথ্যা মামলায় আলেমদের যখন কোর্টে তোলা হতো তখন নির্যাতন করে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে তোলা হতো। কিন্তু এখন দেখছি, খুনের আসামি আওয়ামী লীগ নেতাদের কোর্টে তোলা হচ্ছে, মনে হয় শশুর বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে।  শুধু তাই নয়, আমরা খবর পেয়েছি, জেলখানাতে নাকি তাদের জন্য ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করা হচ্ছে। 

সমন্বংক বলেন, ক্ষমতার লোভে অনেক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেওয়ার আলাপ তুলেছেন। আমরা তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, মন্ত্রীত্ব ও সংসদে যাওয়ার লোভে রাস্তায় আহতদের পিচ্ছিল রক্তের ওপর দিয়ে সংসদে গেলে জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবেন। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেনি বরং তারা ক্ষমা চাওয়া তো দূরে থাক তারা বিদেশে বসে হত্যার হুমকি দিচ্ছে! তাদের সঙ্গে কীসের সমঝোতা প্রশ্নই আসে না।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত গণজমায়েতে এসব কথা বলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। গণজমায়েতের আয়োজন করে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’।

যেসব মুরব্বীদের আওয়ামী লীগের জন্য মায়া হচ্ছে তাদের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগকে যারা নির্বাচনে দেখতে চান, আপনারা ক্ষমতামুখী আর আমরা আহত, জীবন্ত শহিদ ও আমরা জনতামুখী। যতদিন পর্যন্ত না আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না হবে ততদিন পর্যন্ত সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই। আগে আসবে তাদের বিচার নিশ্চিতের প্রশ্ন।  আর যদি বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে আহত যোদ্ধারা মাঠে নামতে বাধ্য হবে।  মনে রাখবেন, শেখ হাসিনা ভারতের বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন। ভারতের প্রেসক্রিপশনে সব কাজ করতেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমার দেশে কোনো হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ভাই সংখ্যালঘু নয়। আমার কোনো পাহাড়ি ভাই সংখ্যালঘু না। বাংলাদেশের বিপক্ষে যারা তারাই প্রকৃত সংখ্যালঘু।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ