সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছেন দেশের অন্যতম চার আলেম। তাদের মাঝে ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজীও রয়েছেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে ৫ প্রস্তাবনা পেশ করেছেন তিনি।
সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি জানান, আমরা জানি যে, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধনের নামে জাতির সঙ্গে চরম প্রতারণা ও ধর্মবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড করেছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর নামে সংবিধান কাটা-ছেঁড়া করে মানুষের মূল্যবোধ ও বিশ্বাসে আঘাত করেছে। এমনকি প্রায় তিন যুগ ধরে সংবিধানে বলবৎ থাকা ‘আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ মূলনীতি বাদ দিয়েছে। বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম এর বিকৃত অনুবাদ নিয়ে এসেছে।
মুফতি সাখাওয়াত রাজী বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে আমাদের প্রস্তাব, ধর্মীয় মূল্যবোধ, জনমত ও জনাকাঙ্খা গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন এবং এগুলো যথাযথভাবে সংবিধানে প্রতিস্থাপন, পুনঃস্থাপনের সুপারিশ করবেন।
তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় তারা বিবেচনা করবেন বলে আশা করছি।
১. ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম’ প্রতিস্থাপন করতে হবে।
২. ‘মূলনীতি হিসেবে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ প্রতিস্থাপন করতে হবে।
৩. ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ বাদ দিতে হবে।
৪. ‘কোরআন ও সুন্নাহ-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কিছু গ্রহণযোগ্য নয়’ এমন একটি কথা সংবিধানে উল্লেখ থাকতে হবে ।
৫. সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব শান্তির দূত বিশ্বনবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি সর্বোচ্চ অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে।
কেএল/