শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬


সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জালে ধরা পড়তে যাচ্ছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাধিক সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা সাবেক এ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের পুরনো হলেও কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায়নি । অবশেষে তার বস্তা বস্তা টাকা ঘুষগ্রহণ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান দল গঠন করেছে দুদক৷ কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশন সভায় পাঁচ সদস্যের এ দল গঠন করা হয়েছে। এর প্রধান করা হয়েছে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ৷

এর আগে গত মঙ্গলবার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, কমিশন সভায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে বস্তায় বস্তায় ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ শিরোনাম একটি অভিযোগ জমা হয়। সেটা অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য ছিলেন যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবুল ফজল মীর ওরফে বাদল, যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হোসেন ও উপসচিব মাহবুবুর রহমান শেখের বিরুদ্ধে একই সিন্ডিকেট থেকে দুর্নীতি, অনিয়মের অংশীদার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে বলে কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন, সাবেক আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম, খন্দকার ফারুক হোসেন, সাবেক আ্যাডিশনাল আইজিপি ইকবাল বাহার, সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজি ওয়াই এম বেলালুর রহমান, সিআইডির সদ্য ওএসডি হওয়া প্রধান অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া, অতিরিক্ত আইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, খন্দকার লুৎফুল কবীর, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মীর রেজাউল আলম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের অব্যাহতি পাওয়া ডিআইজি আব্দুল বাতেন, চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সিআইডির ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম, ডিএমপির সিটিটিসিপ্রধান মো. আসাদুজ্জামান, মো. আনিসুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম, ডিআইজি এস এম মোস্তাক আহমেদ, ডিআইজি মো. জামিল হাসান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন, সাজ্জাদুর রহমান, সুভাষ চন্দ্র সাহা, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, খন্দকার নুরুন্নবী, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ইব্রাহিম হোসেন খান, যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, কক্সবাজারের সাবেক এসপি মাসুদ হোসেন, ডিএমপির মতিঝিলের সাবেক ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান, ঢাকার এসপি মো. আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জের এসপি গোলাম মোস্তফা, পাবনার এসপি মো. আব্দুল আহাদসহ অন্তত ১০০ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদায়ন, বদলি ও নিয়োগ নিয়ে ঘুষ গ্রহণ করার অভিযোগ দুদকে জমা পড়েছে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ