১৯তম ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং বিশ্বের সব বিরোধ শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শনিবার উগান্ডার কামপালায় ওই সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ আহ্বান জানান। সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার, নেপাল, বতসোয়ানা, বেলারুশ, কাতার ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ শনিবার তাঁর বক্তব্যে ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া বক্তৃতার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের উত্তরাধিকার সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
ড. হাছান মাহমুদ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অটুট সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের ন্যায়বিচার দাবি করেন। তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর এবং তাদের সমর্থনে সব প্রয়াস নেওয়ার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্বিগুণ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়তে তিনি গঠনমূলক ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের প্রয়োজনীয়তারও ওপর জোর দেন।
ন্যামের নতুন চেয়ারম্যান উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি গত শুক্রবার দুই দিনব্যাপী এ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে সম্মেলন ও বৈঠকে অংশ নেন।
এনএ/