মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে শুক্রবার ১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ট্রেজারি। এই তালিকায় নেই বাংলাদেশ। ১০ ডিসেম্বর পালিত হবে ৭৫তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। তার আগ মুহূর্তে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মনে জল্পনা-কল্পনা ছিল হয়তো বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ১৩টি দেশ হলো আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, হাইতি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাইবেরিয়া, চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সুদান, সিরিয়া, উগান্ডা ও জিম্বাবুয়ে।
এই পদক্ষেপ ব্রিটেন ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অধিকাংশই লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, বিশ্বব্যাপী নারী ও মেয়েদের নিপীড়নে জড়িত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে কাউন্টি কমিশনার ও দক্ষিণ সুদানের একজন গভর্নর রয়েছে। তাদের বাহিনী ও মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আছে। এছাড়াও তালেবান নেতারাও তালিকায় রয়েছেন।
গত বছর জারি করা বাইডেনের রাষ্ট্রপতি স্মারক অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র নারীদের শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে কাজ করছে। বিশ্বব্যাপী বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আর্থিক, কূটনৈতিক ও আইনি পদ্ধতির আশ্রয় নিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুইজন ইরানী গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যারা ইরানের কুদস ফোর্স কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে এজেন্ট নিয়োগ দানের অভিযোগে অভিযুক্ত।
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল জিনজিয়াংয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে মধ্যম পর্যায়ের দুজন চীনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা পরিচালনা করছে চীন।
এনএ/