আওয়ামী লীগের সাধারণ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কোনো ঋণ নেই। তিনি বছরে আয় করেন ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৫০৮ টাকা। এরমধ্যে তার সর্বোচ্চ আয় হলো বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া খাত থেকে। এ খাতে ওবায়দুল কাদেরের আয় ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৯২৪ টাকা। এছাড়া শেয়ার, সঞ্চয় ও ব্যাংক আমানত খাত থেকে ৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৮৪ টাকা, বেতন-ভাতা থেকে ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং বই লিখে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৩০০ টাকা আয় করেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হলফনামায় ওবায়দুল কাদের তার স্ত্রীর বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ১২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৫ টাকা। এরমধ্যে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া খাত থেকে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬৬ টাকা, ব্যবসা থেকে ৮৬ হাজার ৭২৭ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয় ও ব্যাংক আমানত খাত থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার ৯২২ টাকা এবং আইন পেশা থেকে ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ওবায়দুল কাদের নিজ নামে দেখিয়েছেন উত্তরায় ৫০ লাখ ৭৯ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের ৫ কাঠা জমি আর স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন ১৬ লাখ ৪০ হাজার মূল্যের ১০৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট।
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ওবায়দুল কাদেরের নগদ টাকা রয়েছে ৮০ হাজার, ব্যাংকে জমা রয়েছে ৭৫ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৫ টাকা, ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার ২৯৩ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়ি, ২৫ তোলা স্বর্ণ, ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র। অপরদিকে তার স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে ৭০ হাজার, ব্যাংকে জমা রয়েছে ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৯ টাকা, সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৭৩ লাখ ৬২ হাজার ৮১৫ টাকার। এছাড়া স্বর্ণ ২০ তোলা, ১২ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে বলেও হলফনামায় উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পাশাপাশি আরও চার প্রার্থী মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন। সব তথ্যাদি সঠিক থাকায় পাঁচজনকেই বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির মনোনীত ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোহাম্মদ মকছুদের রহমান, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের (আইএফবি) মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) শাকিল মাহমুদ চৌধুরী।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-৫ আসনে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন এবং ৫ জনই বৈধ প্রার্থী হন। এছাড়া নোয়াখালীর ৬টি আসনে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের মনোনয়ন বাতিল হয় এবং ৩৭ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়ন ফরম বাছাই হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এমএইচ