শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নদী রক্ষা করতে না পারলে, দেশ রক্ষা করা যাবে না : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। শিল্পকারখানার বর্জ্যের কারণে রাজধানীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীগুলোতে দূষণ বাড়ছে। তাই বিভিন্ন স্থানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কথাও জানান।

আজ সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) রাজধানীতে মন্ত্রিসভা কক্ষে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে করা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ সরকারের লক্ষ্য ছিল, নদী রক্ষা ও নাব্যতা বজায় রাখা এবং দূষণ থেকে রক্ষা করা। সরকারের প্রথম মেয়াদে নদী ড্রেজিং শুরু হয়েছিল এবং জমি পুনরুদ্ধারের জন্য পলিমাটি ব্যবহার করা হয়েছিল। নদী ড্রেজিং করতে হবে এবং নাব্যতাও বজায় রাখতে হবে। ভাঙন রোধ করতে এবং নদী ড্রেজিংও করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নদীর ধারে যেসব শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠছে, সেগুলোর বর্জ্য সাধারণত নদীতে ফেলা হচ্ছে। স্যুয়ারেজ লাইনের সমস্ত বর্জ্যও নদীতে ফেলায় দূষণ বাড়ছে। দূষণের কারণে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে দুর্গন্ধ আসা খুবই বেদনাদায়ক। আমরা যাই করি না কেন, প্রথমে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রাখতে হবে।
রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে বাঁচাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্তের কথা জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নদী শাসনের নামে এক সময় উর্বর ফসলি জমিতে বেড়িবাঁধ তৈরি করা স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। তবে একটি নদীর গভীরতা বিবেচনা করতে হবে, এবং আমাদের অবশ্যই নদীর পাশে একটি বাফার জোন তৈরি করতে হবে; যাতে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যায়।

পরিবেশ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে, যে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন,

ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবাইকে সব শহরের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছি। আমরা যে, পরিকল্পনাই গ্রহণ করি না কেন, সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রবাহ সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে। সেভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে, অতীতে দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি পরিকল্পিতভাবে করা হয়নি। পাকিস্তান আমলেও এটি ঘটেনি এবং এমনকি ১৯৭৫ সালের পরে যারা অবৈধ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীরা, যারা অস্ত্র নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে এসেছিল, তারাও দেশের সামগ্রিক সমন্বিত এবং পরিকল্পিত উন্নয়নে মনোযোগ দেয়নি। ফলস্বরূপ পরিবেশগত সমস্যাগুলো উপেক্ষিত হয়েছে এবং নদীগুলো দখল করা হয়েছে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ