শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মনোনয়ন জমা দিলেন এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

|| কাউসার লাবীব ||

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়ন জমা দিলেন সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে মনোনয়ন জমা দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি লিখেন, ‘ইনশাআল্লাহ আবারো আসবো আপনাদের কাছে। নমিনেশন দাখিল করেই ফেললাম। দোয়াতে শরীক রাখবেন।’

তিনি আরো লিখেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ না থাকলে এমনকি আমার আসনের সাবেক এমপি মহোদয়ের সেটিং করা প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটলে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নমিনেশন প্রত্যাহারের সুযোগ অবারিত। সুতরাং সাধু সাবধান।’

এর আগে সাবেক এমপি শাহীনূর পাশা চৌধুরী শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে জমিয়ত থেকে পদত্যাগ করেন। এ ব্যাপরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ‘ইনশাআল্লাহ নির্বাচনের পর মাঠে দেখা হবে। গুড বাই প্রাণের জমিয়ত।’

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর ২০ জুলাই ৪ দলীয় ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী ১৪ মাসের জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন পাশা চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমএ মান্নান এমপির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাবেক এমপি জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা শাহীনূর পাশা চৌধুরী। ২০১৪ সালে জোটের সিদ্ধান্তে পাশা চৌধুরী নির্বাচন বর্জন করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি ২০ দলীয় জোট তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পাশা চৌধুরী নির্বাচনী মাঠে থাকলেও নির্বাচনের দিন কারচুপী এবং নৌকার কর্মী সমর্থকরা সেন্টার দখল করার অভিযোগ এনে সকাল ১১ টায় সুনামগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জন করেন তিনি। ওই নির্বাচনে পরিকল্পনামন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে এমএ মান্নান আবারো এমপি নির্বাচিত হন।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আজই ছিল শেষ দিন। এরপর বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরপর ৩০০ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ